কাপ্তাই হ্রদ থেকে মৎস্য আহরণ বন্ধ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি রাঙ্গামাটি
প্রকাশিত: ০৫:৪২ পিএম, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
দাবি আদায়ে কাপ্তাই হ্রদ থেকে মাছ আহরণ বন্ধ রেখেছেন জেলে ও ব্যবসায়ীরা

বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) রাঙ্গামাটির মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে মাছ অবতরণের সময় বাড়ানোর দাবি জানিয়ে কাপ্তাই হ্রদ থেকে মাছ আহরণ বন্ধ রেখেছেন জেলে ও ব্যবসায়ীরা। এতে বন্ধ রয়েছে মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) রাজস্ব আদায় এবং মৎস্য পরিবহন।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে মাছ ধরা ও অবতরণ বন্ধ রয়েছে বলে জানা গেছে।

ব্যবসায়ীদের দাবি, গত দুই বছর ধরে মাছ শিকারের পর ঘাটে অবতরণ করার জন্য স্বল্প সময়় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। এতে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। কাপ্তাই হ্রদের বিভিন্ন এলাকা থেকে মাছের নৌকা বিএফডিসির ঘাটে আসতে কিছুটা দেরি করলে সেই মাছের রাজস্ব গ্রহণ করে না বিএফডিসি। এতে মাছের গুণগত মান নষ্ট হয় ও পচে যায়। এতে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন মৎস্য ব্যবসায়ীরা।

এ অবস্থায় সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা এবং রাত ৮টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত মৎস্য অবতরণ ঘাট খোলা রেখে মাছ ধরার সময় বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন জেলে ও ব্যবসায়ীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত মাছ আহরণ ও অবতরণ বন্ধ রাখার ঘোষণাও দেন তারা।

কাপ্তাই হ্রদ থেকে মৎস্য আহরণ বন্ধ

কাপ্তাই হ্রদের বৃহত্তম মাছ ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. শুক্কুর বলেন, কাপ্তাই হ্রদের নির্ভরশীল প্রায় ২৬ হাজার জেলে রয়েছেন। এখন আমরা যদি একেবারে মাছের ব্যবসা বন্ধ রাখি, তাহলে এই ২৬ হাজার জেলের কর্মসংস্থান বন্ধ হয়ে যাবে। তবে আমরা বিএফডিসির কমান্ডারের কাছে আমাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে বেশ কয়েকটি চিঠি দিয়েছি। কিন্তু দাবি বাস্তবায়নের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বিএফডিসির অবতরণ কেন্দ্রে মাছ অবতরণের জন্য সময় বৃদ্ধি না করায় ব্যবসায়ী ও জেলেরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাই আমরা বাধ্য হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

এ বিষয়ে বিএফডিসি রাঙ্গামাটি বিপণন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক কমান্ডার ফয়েজ আল করিম বলেন, অবতরণ ঘাটে মাছ আসছে না, এটা সঠিক। তবে আমাদের ল্যান্ডিং কার্যক্রম ও বরফ বিক্রি চালু রয়েছে। তারা চাইলে আমরা দিতে পারি।

তিনি আরও বলেন, ‌‘আমরা গতবছর থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ল্যান্ডিং চালু করে দিয়েছি। এবারও ব্যবসায়ীদের অনুরোধে রাত ৯টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ওনারা যেভাবে রাত ১টা পর্যন্ত ল্যান্ডিং খোলা রাখার দাবি করছেন, সেভাবে হলে হ্রদের অতিরিক্ত মাছ আহরণের একটা বিষয় রয়েছে। অতিরিক্ত মাছ আহরণের ফলে লেকের যে আধিক্যতা সেটা হ্রাস পাবে। এতে করে যদি আমরা রাতে ল্যান্ডিং কার্যক্রম চালু করি, তাহলে লেকের জন্য ক্ষতিকারক একটা সিদ্ধান্ত হবে।’

আরমান খান/এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।