হিমাগার থেকে হাওয়া কৃষকের হাজার বস্তা আলু

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি জয়পুরহাট
প্রকাশিত: ১২:৪৯ পিএম, ১০ নভেম্বর ২০২৫

জয়পুরহাট জেলায় কৃষককে না জানিয়ে আলু বিক্রি করে দিয়েছে হিমাগার কর্তৃপক্ষ। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন বহু কৃষক। পাঁচবিবি ও ক্ষেতলাল উপজেলার সাথী, মোল্লা ও হাফিজার রহমান হিমাগার কর্তৃপক্ষ কৃষকদের না জানিয়ে গোপনে বিক্রি করে দিয়েছে হাজার হাজার বস্তা আলু।

শালাইপুর গ্রামের কৃষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সাথী হিমাগারে ৯০০ বস্তা আলু রেখেছিলাম। বিক্রির কথাতো দূরে থাক, আমাকে জানানোও হয়নি। এখন শুনি সব বিক্রি হয়ে গেছে। এটা কেমন বিচার?’

আরেক কৃষক আমজাদ হোসেন বলছেন,‘মোল্লা হিমাগারে ৩০০ বস্তা আলু রেখেছিলাম। আলু তুলতে গিয়ে দেখি আমার সব শেষ।’

হিমাগার কর্তৃপক্ষ বলছে, ‘আলু পচে যাওয়ার আশঙ্কায় ও জায়গা ফাঁকা করার জন্য আগে থেকেই বিক্রি করতে হয়েছে।’

জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান স্পষ্ট করে জানান, ‘সময়সীমার আগেই আলু বিক্রি আইনগতভাবে সম্পূর্ণ বেআইনি। কৃষকের অনুমতি ছাড়া কোনো ফসল বিক্রি করা যায় না।’

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে যথাযথ ক্ষতিপূরণ ও বিচার চেয়েছেন।

জয়পুরহাট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক আনোয়ারুল হক আনু বলেন, কৃষকের ঘামে উৎপাদিত ফসল যদি হিমাগারের ভেতরেও নিরাপদ না থাকে, তাহলে কৃষকের যাওয়ার জায়গা কোথায়? এই ঘটনা শুধু অর্থনৈতিক নয়, এটি কৃষকের প্রতি রাষ্ট্রীয় ও প্রাতিষ্ঠানিক দৃষ্টিভঙ্গির একটি প্রতিচ্ছবি। প্রশাসনের উচিত দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং কৃষকের আস্থা পুনঃস্থাপন।

এফএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।