মাগুরায় সপ্তাহের ব্যবধানে দ্বিগুণ পেঁয়াজের দাম

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মাগুরা
প্রকাশিত: ০৪:১১ পিএম, ১৩ নভেম্বর ২০২৫

সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে পেঁয়াজের কেজিতে ৬০-৬৫ টাকা পর্যন্ত বেড়ে ১০০-১১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে প্রতিদিন বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজের দাম ওঠানামা করছে। এতে বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ। পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণে সাধারণের ভেতরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) মাগুরা বৃহৎ আড়ত (একতা বাজার) থেকে জানতে পারি মাগুরার সব বাজারে সবজিসহ সব ধরনের পেঁয়াজ-রসুন এখান থেকে সরবরাহ হয়ে থাকে। বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণে সাধারণ মানুষের ভেতরে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে।

ক্রেতারা বলছেন, বাজারে দেশি পেঁয়াজের কিছুটা সংকট তৈরি হওয়ায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আবার আমদানি শুরু হলে পেঁয়াজের দাম নেমে যাবে।

আহাদ মল্লিকা আড়তদাররা বলছেন, ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ থাকায় দেশি পেঁয়াজের ওপর চাপ বেড়েছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমায় বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে।

স্থানীয় সাতদোহা পাড়ার মিটুল মুনসী বলেন, ‌খুচরা বাজারে ১০০-১১০ টাকা কেজি দরে ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। দাম বাড়ার কারণে সাধারণ মানুষ রীতিমতো বিপাকে পড়েছে। প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৬০-৭০ টাকা বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। এমন অবস্থায় পেঁয়াজ কেনা খুব দ্রুত পড়েছে।’

স্টেডিয়াম মাঠ পাড়ার অনিক মিয় বলেন, ‘অনেক লোকসান হয়ে গেলো। প্রায় আড়াইশ মণ পেঁয়াজ ১০ দিন আগে বিক্রি করে দিয়েছি। অথচ পেঁয়াজের মণ ৪ হাজার ৪০০ টাকা (কেজি ১১০ টাকা)। বিষয়টা আমার জন্য খুবই কষ্টের।’

গত ১০ নভেম্বর জেলা প্রশাসক মো. অহিদুল ইসলাম বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ের মূল্য, আমদানি পরিস্থিতি এবং ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। জেলা প্রশাসক বাজার তদারকি কার্যক্রম জোরদারকরণ, মজুতদারির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।

স্থানীয় অনেকের অভিযোগ প্রশাসনে নির্দেশনা অমান্য করে ব্যবসায়ীরা তাদের মনগড়া বাজার দাম নির্ধারণ করেছে এটা খুব দুঃখজনক বিষয়। বেশিরভাগ পেঁয়াজ এখন আড়তদার ও ব্যবসায়ীদের কাছে। ফলে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।

মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা মোছা. রুমানা রহমান বলেন, কৃষকরা এরমধ্যে হালি পেঁয়াজ রোপণের জন্য বীজ থেকে চারা তৈরি শুরু হয়েছেন। নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসতে সময় লাগবে। আশা করছি এ বছর আবহাওয়া ভালো থাকলে কৃষক ভালো করবেন।

মো. মিনারুল ইসলাম জুয়েল/আরএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।