প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা

মাতৃভাষায় শিখতে পারাই প্রাথমিক শিক্ষার উদ্দেশ্য

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নাটোর
প্রকাশিত: ০৩:১৯ পিএম, ১৫ নভেম্বর ২০২৫

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, প্রাইমারি স্কুলের পড়াশোনা উদ্দেশ্য সব বই শেখা নয়। উদ্দেশ্য হচ্ছে, একজন শিশু যেন তার মাতৃভাষায় শিখতে পারে, মাতৃভাষায় পড়ে বুঝতে পারে এবং মাতৃভাষায় যেন তার মনের ভাবটি প্রকাশ করতে পারে।

শনিবার (১৫ নভেম্বর) নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল ফিডিং কর্মসূচির উদ্বোধন ও প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন বিষয়ক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, শিশুরা যেন প্রাথমিকে গণিতের সাধারণ নিয়ম যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ বুঝতে পারে। সে যেন সাবলীলভাবে লিখতে পারে, বুঝতে পারে। শিশুকে পড়াশোনায় আগ্রহী করতে পারলে সে নিজের উদ্যোগে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।

অন্তবর্ত্তীকালীন সরকারের এ উপদেষ্টা বলেন, আমাদের সন্তানরা মুখস্থ করে পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাচ্ছে কিন্তু ভর্তি পরীক্ষায় বেশিরভাগ ফেল করছে। এ কাগজের বৃত্তির কোন দাম নেই। আমাদের প্রকৃত শিক্ষা শিখতে হবে। প্রাইমারিতে একজন শিশু সাবলীলভাবে মাতৃভাষায় সঠিক শিক্ষা শিখতে পারে। সে তার মনের ভাবগুলো লিখতে পারবে। শিশুরা যদি প্রাথমিকে এসব অর্জন করতে পারে, তাহলে নিশ্চিতভাবে মাধ্যমিকে ভাল করবে। জীবনে একজন সফল নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে।

তিনি আরও বলেন, সরকার শিক্ষক নিয়োগ, ভবন নিমার্ণসহ সবকিছু করে দেয়। শুধু আপনাদের দেখভাল করতে হবে। এটা আপনাদের সম্পদ, আপনাদের জিনিস। বিদ্যালয় কেমন চলছে, বিদ্যালয়ের সম্পদ কেউ দখল করছে কি না সব আপনাদের দায়িত্ব। শিক্ষকদের সঙ্গে আপনাদের ভালো সম্পর্ক থাকবে, তাদের আপনারা সহযোগিতা করবেন। আপনার বাচ্চারা নিয়মিত স্কুলে আসছে কি না, তারা নিয়মিত বাসায় পড়ছে কি না তা মনিটরিং করা। আমরা যদি সবাই যৌথভাবে চেষ্টা করি, তাহলে প্রাথমিক শিক্ষার মানের উন্নতি ঘটবে।

এসময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নুর মোহাম্মদ শামসুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

দেশের নির্বাচিত ১৫০টি উপজেলার ১৯ হাজার ৪১৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩১ লাখ ১৩ হাজার শিক্ষার্থীকে সপ্তাহে পাঁচ স্কুল কর্ম দিবসে ফর্টিফাইড বিস্কুট, কলা বা মৌসুমি ফল, বনরুটি, ডিম এবং ইউএইচটি দুধ তথা পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হবে।

রেজাউল করিম রেজা/এমএন/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।