ঝিনাইদহ

জাল সনদে চাকরি ও অর্থ আত্মসাতের দায়ে শিক্ষকের কারাদণ্ড

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ঝিনাইদহ
প্রকাশিত: ০৭:৪৮ পিএম, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
প্রধান শিক্ষক রনি আক্তার

জাল সনদে চাকরি, প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার দায়ে ঝিনাইদহে রনি আক্তার (৪০) নামে এক প্রধান শিক্ষককে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অভিযুক্ত রনি আক্তার সদর উপজেলার প্রিন্সিপাল মোশাররফ হোসেন সালেহা খাতুন নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাকে জালিয়াতি, অর্থ আত্মসাৎসহ কয়েকটি অপরাধের দায়ে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকার অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে ঝিনাইদহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী আনোয়ার হোসেন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রনি আক্তার ঝিনাইদহ সদর উপজেলার দুর্গাপুর নারায়ণপুর পুটিয়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, আসামি রনি আক্তার গোয়ালপাড়া অধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন-সালেহা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসাবে কর্মরত ছিলেন। তিনি জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে নিজের শিক্ষক নিবন্ধন ও বিএড সনদপত্র তৈরি করে বিদ্যালয়ে চাকরি করে আসছিলেন। এছাড়া প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার সুবাদে তিনি নিয়োগ বাণিজ্যসহ স্কুলের অর্থ আত্মসাৎ করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০২২ সালের জুলাই মাসে বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হয়। এমপিও ভুক্ত হওয়ার পর আসামি রনি আক্তার তার সরকারি বেতন ভাতা প্রাপ্তির লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর তার শিক্ষক নিবন্ধন ও বিএড সনদ পত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র দাখিল করেন। আসামির দাখিল করা শিক্ষক নিবন্ধন ও বিএড সনদসহ অন্যান্য কাগজ পত্র যাচাই-বাছাই শেষে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রনি আক্তারের সনদপত্র ভুয়া ও জাল বলে প্রমাণিত হয়। এর জেরে তার সরকারি বেতন-ভাতাও বাতিল করা হয়।

সরকার পক্ষের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট এএসএম রাকিবুল হাসান বলেন, দীর্ঘ শুনানি শেষে তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে বিজ্ঞ আদালত এ রায় দিয়েছেন। সনদপত্র জালিয়াতি ও প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি আদালতে আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি।

২০২৪ সালের ১৪ নভেম্বর রনি আক্তারের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও জাল সনদ দিয়ে চাকরি করার অভিযোগে আদালতে মামলা করেন প্রিন্সিপাল মোশাররফ হোসেন সালেহা খাতুন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাসরিন আক্তার। আদালতে দীর্ঘ সাক্ষ্য প্রমাণ ও শুনানি শেষে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় এ রায় প্রদান করেন। আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট তারিকুল ইসলাম মামলাটি পরিচালনা করেন।

এম শাহজাহান/আরএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।