বগুড়ায় ২৬ টন পলিথিন জব্দ, তিনজনের কারাদণ্ড
পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর নিষিদ্ধ পলিথিন মজুতের বিরুদ্ধে বগুড়ায় অভিযান চালিয়েছে র্যাব-১২। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে শহরের কালিতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি বেনামি গোডাউন থেকে ২৬ হাজার কেজি (২৬ টন) অবৈধ পলিথিন জব্দ করা হয়েছে। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে গোডাউনের ম্যানেজারকে ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ডসহ মোট তিনজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বগুড়া সদর উপজেলার আটাপাড়া এলাকার মৃত দুদু মণ্ডলের ছেলে মো. হেলালুজ্জামান (৪৫), নাটাইপাড়া এলাকার মৃত জাবেদ আলীর ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম (৪০) ও গোকুল এলাকার মো. বাদলের ছেলে মো. জাকারিয়া (২২)।

র্যাব-১২ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের একটি দল সকাল ৯টার দিকে কালিতলা এলাকায় ঝর্ণা হোমিও হলের পূর্ব পাশে ভান্ডারী পাইপ ফ্যাক্টরি সংলগ্ন ওই গোডাউনে অভিযান চালায়। অভিযানকালে গোডাউন এবং একটি ট্রাকে বিপুল পরিমাণ এই নিষিদ্ধ পলিথিন পাওয়া যায়, যার মোট পরিমাণ ২৬ টন বা ২৬ হাজার কেজি। গোডাউনের ম্যানেজার মো. হেলালুজ্জামানসহ আটক তিনজনই জিজ্ঞাসাবাদে দীর্ঘদিন ধরে এই অবৈধ কাজের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। পরিবেশ অধিদপ্তর বগুড়া জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক মাহমুদুল হাসান অভিযানে উপস্থিত ছিলেন।
বগুড়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অবৈধভাবে পলিথিন মজুত ও বিক্রির দায়ে গোডাউনের ম্যানেজার মো. হেলালুজ্জামানকে (৪৫) ২ লাখ টাকা জরিমানা ও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। এছাড়া তার সহযোগী মো. রফিকুল ইসলামকে (৪০) এক মাস ও মো. জাকারিয়াকে (২২) ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার রশিদুল ইসলাম বলেন, এটি একটি সংঘবদ্ধ চক্রের কাজ। এই প্রতিষ্ঠানে ডিবি এর আগেও অভিযান চালিয়ে প্রায় ১২ টন পলিথিন জব্দ করেছিল। আমরা এসে জানতে পারি আমিনুর ইসলাম শিবু নামে একজন দীর্ঘদিন ধরে এখানে ব্যবসা করে আসছেন। মূল মালিককে এখানে পাওয়া যায়নি। এ কারণে ম্যানেজার হেলালুজ্জামানকে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড ও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং তার দুই সহযোগীকেও বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, জব্দকৃত ২৬ টন পলিথিন পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানি কমান্ডার ফিরোজ আহমেদ বলেন, পরিবেশ রক্ষায় আমাদের এ ধরনের অবিচল অভিযান অব্যাহত থাকবে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয় এবং বিপুল পরিমাণ ক্ষতিকর পলিথিন জব্দ করা হয়েছে।
এমএন