জামায়াতের সঙ্গে জোট
সমঝোতা চূড়ান্ত পর্যায়ে, আরও আলোচনা বাকি আছে: মঞ্জু
জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়া প্রসঙ্গে আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান ও ফেনী-২ আসনে দলীয় প্রার্থী মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, জুলাই অভ্যুত্থান ও গণতান্ত্রিক সংস্কারের যে আকাঙ্ক্ষা সেটি বাস্তবায়নে আলাদা একটি জোট করেছিলাম। কিন্তু দেখলাম একে একে আমাদের বন্ধুরা বিভিন্ন দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছেন।
তিনি বলেন, বাধ্য হয়েই জুলাই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা এবং আগামী দিনের গণতান্ত্রিক সংস্কার বাঁচিয়ে রাখতেই অধিকতর যাদের আমাদের বন্ধু মনে হয়েছে, তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক জোট ও আসন সমোঝোতার আলোচনায় সম্পৃক্ত হয়েছি। কিছু বিষয়ে সমঝোতা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে, আরও আলোচনা বাকি আছে। আমাদের কাছে শুধু আসন ভাগাভাগি গুরুত্বপূর্ণ নয়, গণভোটে ‘হ্যাঁ’ এর পক্ষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করাও বড় অঙ্গীকার।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে ফেনী জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মনিরা হকের হাতে ফেনী-২ আসনের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘আমাদের মধ্যে অনেক দ্বিধাবিভক্তি ও মতভেদ থাকলেও দেশের বৃহত্তর স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। আমাদের এ অভিপ্রায় ও অঙ্গীকারে যেন ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারি, জনগণের রায় যেন আমাদের পক্ষে আসে সেজন্য কাজ করবো। জনগণ যে রায় দেবে আমরা সেটিই মাথা পেতে নেবো।’

ফেনী-২ আসনে জামায়াতের প্রার্থীর সমর্থনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ আসনে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে ফেনীর অত্যন্ত জনপ্রিয় লিয়াকত আলী ভূঁইয়া দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। আমাদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে উনি এখানে মনোনয়নপত্র জমা দেননি। এতে জোটের আলোচনা ও জুলাই অভ্যুত্থানের অঙ্গীকারের অভিপ্রায়ে যে সমঝোতা সেই জায়গা থেকে আমাকেই এ দায়িত্বটি দেওয়া হয়েছে। আমি মনে করি এটি একটি বড় সেক্রিফাইস।’
মঞ্জু বলেন, ‘জোটের ভিত্তিতে যেন আগামী দিনে ঐক্যবদ্ধ থেকে আমাদের গণতান্ত্রিক এই অভিযাত্রা এগিয়ে নিতে পারি, সেজন্য সবার সহযোগিতা চাই। আজ সারাদেশে আমাদের দলের ৭০ জনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।’
এসময় এনসিপির ফেনী জেলা আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম সৈকতসহ এবি পার্টির দলীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
আবদুল্লাহ আল-মামুন/এসআর/এমএস