পাঁচদিন পর সূর্যের দেখা পেলো গাইবান্ধা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি গাইবান্ধা
প্রকাশিত: ০৩:৩৫ পিএম, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫

টানা পাঁচ দিনের ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের পর অবশেষে গাইবান্ধায় সূর্যের আলো দেখা গেছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার দিকে পূর্ব আকাশে সূর্য ওঠার পর চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে উষ্ণতা। এতে করে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।

গত পাঁচ দিন ধরে তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। বিশেষ করে সকালে কাজে বের হতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষ। সূর্যের দেখা পাওয়ায় শ্রমজীবী মানুষের কাজে নামা এখন কিছুটা সহজ হয়েছে।

গাইবান্ধা সদর উপজেলার সরকার পাড়া এলাকার কৃষক সাদেক মিয়া বলেন, টানা কয়েক দিন সূর্য না থাকায় অনেকটা চিন্তায় ছিলাম। বোরো ধানের বীজতলা নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। আজ রোদ ওঠায় অনেকটা ভরসা পাচ্ছি।

বোয়ালী ইউনিয়নের কৃষক হাকিম আলী বলেন, সূর্য না উঠায় গরু- ছাগলসহ ধানের বীজতলা নিয়ে চিন্তা পড়ে ছিলাম। আবহাওয়া আজ ভালো হওয়ার কারণে খুশি লাগছে।

পাঁচদিন পর সূর্যের দেখা পেলো গাইবান্ধা

আরেক কৃষক কেরামত বলেন, শীত বেশি পড়লে বোরো ধানের বীজতলা পচে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। সূর্যের আলো পাওয়ায় ক্ষতির আশঙ্কা অনেকটা কমে গেছে।

শহরের রিকশা চালক হুমায়ন বলেন, কয়েকদিন থেকে ঘনকুয়াশা আর শীতের কারণে মানুষ ঘর থেকে তেমন একটা বের হয় নাই। আজ সূর্য উঠার কারণে শহরে অনেক সমাগম লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

রংপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে পারে। তবে দিনে বেলায় তাপমাত্রা বাড়লেও তা রাতের বেলা কমবে।

গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ উপ-পরিচালক মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, টানা শৈত্যপ্রবাহে বোরো বীজতলা নিয়ে আমরা কিছুটা উদ্বিগ্ন ছিলাম । সূর্যের আলো ও তাপমাত্রা কিছুটা বাড়ায় এখন ক্ষতির ঝুঁকি কমেছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকলে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা নেই।

আনোয়ার আল শামীম/আরএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।