নতুন কাপড় না ঈদের দিন পেটভরে খেতে পারলেই খুশি
ঈদের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। এখন পর্যন্ত কোনো নতুন কাপড় পায়নি তারা। হতভাগ্য এসব শিশুরা বাধ্য হয়ে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করছে ঈদের দিন পরিবারের সঙ্গে পেটপুরে একটু ভালো খাবার খাওয়ার আশায়। সমাজের গণ্যমান্য উঁচুতলার মানুষের সাহায্যের আশায় বুক বেঁধে আছে তারা। 
তেমনই এক শিশুশ্রমিক সদ্দাম জাগো নিউজকে জানায়, ঈদের আনন্দ গরিবের জন্য নয়, বড় লোকদের জন্য। রোজার সারাটা মাস হাড়ভাঙা পরিশ্রমের বিনিময়ে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে নতুন কাপড় চোপড় না বরং ঈদের দিন মা-বাবা ভাই বোনের সঙ্গে মাংস দিয়ে পেটভরে ভাত খেতে পারলেই শান্তি পাবো।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অন্যান্যবার কিছু মুষ্টিমেয় শিশুরা নতুন কাপড় চোপড়ের মুখ দেখলেও এবছর ডিসি অফিসের বারান্দায় ধন্না দিয়েও মিলাতে পারছে না তেমন কিছুই। এমনকি সামান্য কিছু সহযোগিতার আশায় জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বাসা ও গাড়ির সামনেও কাউকে কাউকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থেকে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
এবিষয়ে মাগুরার জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমান জাগো নিউজকে জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সামর্থ অনুযায়ী সাধারণ মানুষকে সহযোগিতা করা হচ্ছে। এছাড়া ঈদ উপলক্ষে একটি সরকারি এতিমখানার ২শ বাচ্চাকে নতুন কাপড় দেয়া হয়েছে ও উন্নতমানের খাবারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এতিম খানা, মাদরাসা ও বিভিন্ন কল্যাণ ট্রাস্টের পাশাপাশি যদি এসব ছিন্নমূল শিশুদের ঈদ উপহার দেয়া যায়, তাহলে অনেক সুবিধা বঞ্চিত অসহায় শিশু ঈদের আনন্দটা উপভোগ করতে পারবে বলে মনে করে এসব শিশুরা।
এফএ/পিআর