কাঠুরিয়ার ছেলে ইমরান পেয়েছে জিপিএ-৫


প্রকাশিত: ০৪:১৯ এএম, ৩০ আগস্ট ২০১৬

`এমনও অনেক দিন গেছে যে দিন আমি না খেয়ে কলেজে গেছি। পড়াশোনার খরচ যোগাতে অন্যের ক্ষেতে কাজ করেছি। আমি বড় হয়ে অর্থনীতিবিদ হতে চাই।` কথাগুলো জানান এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়া মো. ইমরান আহমেদ।

ইমরানের বাড়ি জেলার মহেশপুর উপজেলার বিদ্যাধরপুর গ্রামে। বাবা মো. আব্দুল আলীম একজন কাঠুরিয়া আর মা মোছা. শামসুন্নাহার গৃহিণী।

বাবা মো. আব্দুল আলীম জানান, ৪ ভাই বোনের মধ্যে সবার বড় ইমরান। সে শামছুল হুদা খান কলেজে হতে ২০১৬ সালের এইচএসসি পারীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে। তার ছোট বোন এখন নবম শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে। সেও তার মতো মোধাবী। আর একটা বোন ৭ম শ্রেণিতে এবং ছোট ভাই ৫ম শ্রেণিতে পড়ছে।

মা মোছা. শামসুন্নাহার জানান, দরিদ্র্যতাকে হার মানিয়েছে ইমরান। অভাবের সংসারে ইমরান লেখাপড়ারা পাশাপাশি অন্যের ক্ষেতে কামলা খাটে। ইমরানের স্বপ্ন অর্থনীতিবিদ হবে। কিন্তু অভাবের সংসারে হয়তো তার এ স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে যাবে। কারণ তাকে লেখাপড়া করানোর মতো সামর্থ্য তার বাবার নেই।

আহমেদ নাসিম আনসারী/এসএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।