ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে পুলিশি প্রহরায় চলছে ট্রাক


প্রকাশিত: ০৯:১১ এএম, ০২ ডিসেম্বর ২০১৬

উত্তরাঞ্চলে ট্রাক ধর্মঘট অব্যাহত থাকলেও শুক্রবার ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে পুলিশি প্রহরায় চলছে ট্রাক। এর আগে সকাল থেকে ট্রাক শ্রমিকরা পণ্যবাহী শত শত ট্রাককে মহাসড়কের যত্রতত্র গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে আটকে দিলে মহাসড়কে ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়।  

বগুড়া ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল মান্নান জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে। এর আগে সাত দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পণ্য পরিবহণে ধর্মঘট শুরু হয়েছে। উত্তরবঙ্গ ট্রাক, ট্যাংক লরি, কার্ভাডভ্যান ও পিকআপ মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ এই ধর্মঘটের ডাক দেয়।

ধর্মঘটের কারণে প্রথম দিন বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চল থেকে কোনো পণ্যবাহী ট্রাক, ট্যাংক লরি, কার্ভাড ভ্যান ও পিক-আপ চলাচল করেনি। কিন্তু দ্বিতীয় দিলে দেশের বিভিন্ন প্রাপ্ত থেকে মালবাহী ট্রাকগুলো জেলা সড়কে এসে জড়ো হলে ভয়াবহ যানজট দেখা দেয়।

বগুড়া পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান জানান, ঐক্য পরিষদের বগুড়ার নেতবৃন্দের সঙ্গে ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে। তাদের দাবি নিয়ে বিভাগীয় পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে অচিরেই সুষ্ঠু সমাধান করা হবে। কিন্তু তারপরেও মহাসড়কে ট্রাক চলাচলে বাধা দেয়ার কারণে শুক্রবার পুলিশের বিশেষ বাহিনীকে মহাসড়কে নামানো হয়। এই বাহিনীর সদস্যরা বগুড়া জেলার সীমান্ত এলাকা পাহারা দিয়ে মালবাহী ট্রাকগুলো পার করে দেয়।

পণ্যবাহী পরিবহন ধর্মঘটের কারণে উত্তরাঞ্চল থেকে সবজিসহ অন্যান্য পণ্য রাজধানীসহ অন্যান্য জেলায় সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে পাইকারি বাজারে।

বগুড়ার মহাস্থান থেকে প্রতিদিন অর্ধ-শতাধিক ট্রাকে করে সবজি রাজধানীসহ অন্যান্য জেলায় গেলেও গত দুইদিন পরিবহন বন্ধ থাকায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ফলে ধস নেমেছে সবজির বাজার।

উত্তরবঙ্গ ট্রাক ট্যাংক লরি কাভার্ডভ্যান ও পিকআপ মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক ও বগুড়া জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল মান্নান জানান, ট্রাক পরিবহন শিল্পকে বাঁচাতেই সাত দফা দাবি দেয়া হয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

এআরএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।