হ্যান্ডকাপসহ পালালো নারী মাদক ব্যবসায়ী
বরিশাল নগরীর নামারচর বস্তি এলাকায় পুলিশকে কামড় দিয়ে হ্যান্ডকাপ সহ পালিয়েছে কেডিসি এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী লাবনী। রোববার সাড়ে ৭টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
পরে ডিবি ও থানার পুলিশ এবং র্যাব যৌথভাবে অভিযান চালিয়েও লাবনীকে ধরতে পারেনি। লাবনী পালিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করলেও হ্যান্ডকাফ নেয়নি বলে দাবি করেছে ডিবি পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, সন্ধ্যার পর মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নামার চর বস্তিতে অভিযান চালায়। তারা সেখান থেকে এক কেজি গাজাসহ লাবনীর দুই সহযোগীকে আটক করে।
আটককৃতরা হলেন, চিহ্নিত গাঁজা ব্যবসায়ী পুতুল ও ফাতেমা ওরফে ফতু। মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক আব্দুল মালেক তালুকদার বলেন, এই অভিযানের ঘটনায় কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, তাদের অভিযানের শেষ মুহুর্তে সেখানে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি ) পুলিশ হানা দেয়।
এই সময় তারা লাবনীকে আটক করে। তখন তারা সেখান থেকে চলে এসেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ডিবির এসআই আহসান কবিরের দলের অভিযানের মুখে লাবনী ও তাসলি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তাসলিমা ওরফে তাসলি পালিয়ে গেলেও এলাকার একটি ঘর থেকে লাবনীকে মাদক সহ আটক করে ডিবি পুলিশ। সূত্রগুলো আরো জানায়, লাবনীকে আটকের বিষয়টি জানতে পেরে তার সহযোগী অন্যান্য মহিলা মাদক ব্যবসায়ীরা অভিযানকারী পুলিশের উপর হামলা করে। এ সময় চতুর মাদক ব্যবসায়ী লাবনী মহিলা পুলিশ সদস্যদের হাতে কামড় দিয়ে হ্যান্ডকাপসহ পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে গোয়েন্দা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তা ও সদস্যরাসহ কোতয়ালী মডেল থানা এবং র্যাবের একটি দল নামার চরের মাদক ব্যবসায়ী এবং স্থানীয়দের উপরে এলোপাতারি লাঠি চার্জ করে।
মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. আজাদ রহমান জানান, এসআই কবির তার ফোর্স নিয়ে মাদক ব্যবসায়ী তাসলি ও লাবনীকে গ্রেফতারে অভিযান চালায়। এসময় লাবনীকে আটক করলেও সে মহিলা পুলিশ সদস্যদের কামড়ে পালিয়ে যায়। তবে নামার চরে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপর লাঠি চার্জের বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।
এমজেড/আরআইপি