মতলবে বোরো মৌসুমে সেচ প্রকল্পের পানি পাচ্ছে না কৃষক
চলতি মাসেই চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের পানি সেচের উদ্বোধন করা হলেও অধিকাংশ কৃষক এখনও বোরো আবাদের সেচ সুবিধা পায়নি।
এদিকে সঠিক সময়ে পানি না দেয়ায় বোরো উৎপাদনে বিপর্যের আশঙ্কা রয়েছে। এ নিয়ে হতাশায় ভুগছেন কৃষকরা।
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সেচ প্রকল্প মেঘনা-ধনাগোদাৎ। উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়নের ১৭ হাজার ৫৮৪ হেক্টর জমি নিয়ে অধিক কৃষি পণ্য উৎপাদনের উদ্দেশ্যে ১৯৭৯-৮০ অর্থ বছরে মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্প নির্মাণ শুরু হয় এবং ১৯৮৭-৮৮ অর্থ বছরে এর কাজ শেষ হয়।
সেচ ও নিষ্কাশন সুবিধার মাধ্যমে ধান উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পটি নিমার্ণ করা হয়েছে। সেচ সুবিধার মাধ্যমে বোরো ধান উৎপাদনই ছিল মূল লক্ষ্য। কিন্তু বোরো মৌসুমের শুরুতে কখনোই সেচ সুবিধা পায়নি কৃষক। এ কারণে সেচ প্রকল্প নির্মাণের পর অধিকাংশ মৌসুমে বোরো ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি।
কৃষিবিদরা জানান, ১৫ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বীজতলা করার উপযুক্ত সময়। ১৫ ডিসেম্বর থেকে জমিতে বোরো ধানের চারা রোপন করতে হয়। ধানের চারার বয়স ২১ দিন থেকে ৪০ দিনের মধ্যে জমিতে রোপন করতে হবে। ৪০ দিনের চেয়ে চারার বয়স বাড়তে থাকলে ক্রমেই উৎপাদন কমতে থাকবে।
কৃষি অফিস সূত্র জানায়, মতলব উত্তর উপজেলায় এবার বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ৯ হাজার ২শ হেক্টর জমিতে। কৃষকরা এ লক্ষ্যমাত্রা সামনে নিয়ে বীজতলা তৈরি করে বসে আছে। অথচ এ পর্যন্ত কৃষকরা পানি সেচ পায়নি। এদিকে চারার বয়স দিন দিন বেড়েই চলছে। অনেকের চারার বয়স ৬০ দিন পার হয়ে গেছে। ধানের চারার বয়স ২১ দিন থেকে ৪০ দিনের মধ্যে জমিতে রোপন করতে হয়। তা না হলে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা কমতে থাকে। সঠিক সময়ে পানি না দেয়ায় বোরো উৎপাদনে বিপর্যের আশঙ্কা করছে কৃষকরা।
কৃষকরা জানান, পানি ছাড়ার কথা শুনেছি। কিন্তু পানি এখনো ক্যানেলগুলোতে আসেনি। পানির জন্য আমরা জমিতে ধান লাগাতে পারছি না।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম জানান, এখন তারা পাম্পের মাধ্যমে দিনে ২ ঘণ্টা পানি দিচ্ছে। এভাবে পানি দিলে বোরো আবাদে সমস্যা হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য আলাউদ্দিন জানান, পানি সেচের উদ্বোধন করা হয়েছে। ক্যানেলগুলোতে ব্রিজ ও কালভার্ট হওয়ার কারণে পানি সেচ দিতে বিলম্ব হয়েছে। এখন পানি পুরোদমে দেয়া হবে।
এমএএস/আরআইপি