বরগুনায় ১৪ হিন্দু পরিবার উচ্ছেদ : হাইকোর্টে রুল
বরগুনার তালতলী উপজেলার চন্দনতলা গ্রামে ১৪টি হিন্দু পরিবারকে উচ্ছেদের ঘটনায় কারণ দর্শাতে সরকারের প্রতি রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এ ঘটনায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে পুলিশের ব্যর্থতাকে কেন বে-আইনী ঘোষণা করা হবেনা এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না মর্মে এ রুলে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তালতলী উপজেলার চন্দনতলা গ্রামে একটি পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া ওই পরিবারগুলোর ওপর হামলা ও উচ্ছেদের ঘটনায় বরগুনার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কি কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং বর্তমান পরিস্থিতি কি তা উল্লেখ্য করতে বলা হয়েছে।
বরগুনার তালতলী উপজেলার ১৪টি হিন্দু পরিবারের উপর নির্যাতন ও উচ্ছেদের পর আইন সালিশ কেন্দ্র ঘটনাস্থল পরিদর্শনে তাদের প্রতিনিধিদল পাঠায়। পরিদর্শনের পর রোববার আইন সালিশ কেন্দ্র ১৪ হিন্দু পরিবারকে নিরাপত্তা প্রদানে পুলিশের ব্যর্থতাকে চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থে মামলা দায়ের করে। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও আবু তাহের মোহাম্মদ সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ নির্দেশনা দেন।
আইন ও সালিশ কেন্দ্র`র (আসক) পক্ষে মামলার শুনানি করেণ অ্যাডভোকেট জেডআই খান পান্না, আবু আবদুর রহমান, অবন্তী নুরুল ও সামিউল আলম সরকার।
মামলা ও রুল জারির বিষয়টি নিশ্চিত করে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) সিনিয়র ডেপুটি ডিরেক্টর আবু ওবায়দুর রহমান জাগোনিউজকে বলেন, নির্যাতিত পরিবারগুলোর নিরাপত্তা রক্ষায় যাতে সরকারের পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয় সে কারণেই আইন সালিশ কেন্দ্র এ পদক্ষেপ নিয়েছে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় বখাটে সন্ত্রাসীদের নিরব নির্যাতনের কোনো প্রতিকার না পেয়ে গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয় বরগুনার তালতলী উপজেলার চন্দনতলা গ্রামের ১৪টি হিন্দু পরিবারের নারী ও শিশুসহ ৯০ সদস্য। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সেসব পরিবারকে নিজ নিজ বাড়ি ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়া হলেও এখনও পর্যন্ত শঙ্কা কাটেনি তাদের। তাছাড়া এ ঘটনায় আঃ রশিদ আকন নামের একজনকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরেই রয়ে গেছে ঘটনার পেছনের বেশ কয়েকজন স্থানীয় প্রভাবশালী অধিবাসী।
এমএএস/আরআই