বগুড়ায় যুবদলের সভাপতি গুলিবিদ্ধ
বগুড়া শহর যুবদলের সভাপতি, পৌর কাউন্সিলর ও পুলিশের তালিকাভূক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী মাসুদ রানা মাসুদ গ্রেফতারের পর পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। শনিবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। তবে তার পায়ে গুলি লাগা এবং পুলিশ ও আত্নীয়-স্বজনের বক্তব্যে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।
বগুড়ার এএসপি (মিডিয়া) গাজিউর রহমান জানান, শহরতলির ছোট কুমিড়া গ্রামের মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে মাসুদ বগুড়া পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। এছাড়া তিনি শহর যুবদলের সভাপতি ও পুলিশের তালিকাভূক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে থাকা ৩৪টি মামলার মধ্যে ৫টিতে ওয়ারেন্ট হয়েছে। ২০ দলীয় জোটের গত তিন মাসের হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে মাসুদ শহরতলির চারমাথা, এরুলিয়া ও মাটিডালি এলাকায় পেট্রলবোমা হামলা, নাশকতার পরিকল্পনা ও নেতৃত্বদান করে। শনিবার রাত পৌনে ৩টার দিকে গোপন খবর পেয়ে সদর থানার ওসি আবুল বাশারের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা একই এলাকায় তার শ্যালকের বাড়িতে অভিযান চালান। এসময় মাসুদ টের পেয়ে পুলিশের উপর ককটেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করেন। পুলিশ সদস্যরা আত্মরক্ষায় শর্টগান দিয়ে ৫ রাউন্ড গুলি করলে তিনি পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়। তখন তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তল্লাশি করে খাটের নিচ থেকে একটি পাইপগান, ২টি কার্তুজ ও ২২টি ককটেল পাওয়া যায়।
সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, মাসুদকে পুলিশ প্রহরায় শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। মাসুদ আগে ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলো। কিছুদিন আগেও শহরের মালতিনগরে তার নিয়ন্ত্রিত একটি বাড়ি থেকে বিপুল সংখ্যক ককটেল ও ককটেল তৈরির সরঞ্জামসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
এদিকে শহর যুবদল সভাপতি মাসুদ রানা মাসুদ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধার প্রসঙ্গে বক্তব্য জানতে চাইলে জেলা বিএনপি ও যুবদলের শীর্ষ নেতারা কেউ ফোন ধরেননি। তবে মাসুদের পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন, পুলিশ শনিবার গভীর রাতে ছোট কুমিড়ায় শ্যালক আলমের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে। এসময় তার কাছ থেকে কোন আগ্নেয়াস্ত্র বা ককটেল পাওয়া যায়নি। পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে তার পায়ে গুলি করেছে।
লিমন বাসার/এসএস/আরআই
