ছিটমহল বিনিময়ে আইনি প্রক্রিয়া শিগগিরই সম্পন্ন হবে : সন্দীপ মিত্র
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাই কমিশনার সন্দীপ মিত্র বলেছেন, ছিটমহল বিনিময়ে আর কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। ছিটমহল বিনিময় কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়নে উভয়পক্ষ বেশ আন্তরিক। আইনগত কিছু প্রক্রিয়া বাকি আছে। খুব শিগগিরই সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ছিটমহলবাসীদের বন্দিদশা থেকে মুক্ত করা হবে।
সোমবার দুপুরে পঞ্চগড় সদর উপজেলার ভারতীয় গারাতি ছিটমহল পরিদর্শন শেষে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতীয় বিভিন্ন ছিটমহল পরিদর্শন করেছি। এসব ছিটমহলে কোনো কুচক্রিমহল দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টির চেষ্টা করতে পারে। যদি কেউ কোনোভাবে এমন অপচেষ্টায় লিপ্ত হয় সেক্ষেত্রে আইন-শৃংখলা বাহিনীর পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া ছিটমহল বিনিময় সংক্রান্ত সীমান্ত বিল বাস্তবায়নে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। এসব সদস্যা সমাধানে উভয়দেশের আধিকারীকরা রয়েছেন। বিষয়গুলো নিয়ে দুই দেশের সরকারও অবহিত।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছিটমহল পরিদর্শনের উদ্দেশ্য হচ্ছে ছিটমহলবাসীর সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা এবং আনন্দ ভাগাভাগি করা। ছিটমহলবাসীর জমি নিয়ে, নাগরিকত্ব নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব থাকতে পারে। আন্তরিকতার সাথে এসব সমস্যা সমাধান করা হবে।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে সহকারী হাই কমিশনারের সফর সঙ্গী মিসেস সন্দিপ মিত্র, মানবাধিকার বিষয়ক আইনজীবী আব্রাহাম লিংকন, বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটি বাংলাদেশ অংশের সভাপতি ময়নুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, গারাতি ছিটমহলের চেয়ারম্যান মো. মফিজার রহমান প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
এর আগে ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির নেতারা তাদের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের রাষ্ট্রপতি নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন জানান। তারা ছিটমহলের নানা সমস্যা তুলে ধরে বলেন, ৬৮ বছরের অবরুদ্ধ জীবন থেকে মুক্ত জীবনে আসতে পেরে তারা যেন নবরূপে স্বাধীনতার আনন্দ উপভোগ করছেন। তারা ছিটমহল এলাকায় দ্রুত উন্নয়ন কাজ শুরু করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
এমএএস/পিআর