গাজীপুরে জলাবদ্ধতা : ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ

সকাল থেকে টানা বৃষ্টির কারণে গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস, সাইবোর্ড ও আশেপাশের এলাকা ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে প্রায় হাটু পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। মহাসড়কে সকাল থেকেই যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হওয়ায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে ওই রোডে যাতায়তকারী যাত্রী ও সাধারণ মানুষ পড়েন চরম ভোগান্তিতে।
নাওজোর মহাসড়ক পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার সকালে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ায় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভোগড়া বাইপাস ও এর আশেপাশের এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উপর প্রায় হাটু পানি জমে যায়।
তিনি বলেন, ধীর গতিতে যানবাহন চলাচল করার কারণে গাড়ির চাপ বেড়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ও ঢাকা-বাইপাস সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজট নিরসনে গাজীপুরের জেলা পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ ও মহাসড়ক পুলিশ কাজ করছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে পানি কমতে থাকলেও দুপুর দেড়টা পর্যন্ত মহাসড়কে যানজট অব্যাহত ছিল।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফয়সল আহমেদ সরকার জানান, ভোগড়া, বাসন, আধেপাশা, আউটপাড়া এলাকার কল-কারখানা ও আবাসিক এলাকার গৃহস্থালী পানি ও বর্জ্য অপসারনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিবছরই বর্ষা মৌসুমে ওই এলাকায় মহাসড়কে পানি জমে যায়। ফলে এ এলাকায় অনেক বসত বাড়িতেও পানি ওঠে। সম্প্রতি পানি সরানোর জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা হলেও তা পর্যাপ্ত নয়।
এ ব্যাপারে গাজীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলী মো. সবুজ উদ্দিন খান জানান, প্রতিবছরই বর্ষায় এ সমস্যা হচ্ছে। ফলে মহাসড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। বৃষ্টি হলে মহাসড়কের পানি রাস্তায় জমে না। কিন্তু মহাসড়কের আশে-পাশের এলাকার পানি বের হওয়ার ব্যবস্থা কম থাকায় তা মহাসড়কে ওঠে যায়। এজন্য পাশের স্থানীয় মোগরখালটি খনন ও প্রশস্ত করা দরকার। এ নিয়ে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র মো. আসাদুর রহমান কিরণের সাথে কথা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে তার সাথে বৈঠক করার কথা রয়েছে।
গাজীপুর সিটির ভারপ্রাপ্ত মেয়র মো. আসাদুর রহমান কিরন জানান, জলাবদ্ধতা নিরসনে সিটির কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছে। পরবর্তীতে স্থায়ী সমাধানের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জলাবদ্ধতার সময় যানজটে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় স্থানীয় শিক্ষার্থী ও কল-কালকারখানার নারী শ্রমিকদের। পানিতে তাদের পরনের কাপড় ভিজে যাচ্ছে। অনেকে হাঁটতে গিয়ে পিছলে পড়ে গিয়ে কর্মস্থলে যাওয়া হচ্ছে না।
মো. আমিনুল ইসলাম/এসকেডি/আরআই