মণ্ডপের ডিউটি পেতে ৫শ টাকা ঘুষ!
নড়াইল সদর উপজেলার বিভিন্ন মণ্ডপে দুর্গাপূজা উপলক্ষে অধিকাংশ সাধারণ আনসার সদস্যদের কাছ থেকে ডিউটি দেয়ার নাম করে অতিরিক্ত অর্থ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন গ্রুপের আনসার দলনেতা সাধারণ সদস্যদের কাছ থেকে ৪শ থেকে ৫শ টাকা করে ঘুষ নিয়ে তাদের নিয়োগ দিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভায় ২৬৬ পূজামণ্ডপে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য পুলিশের পাশাপাশি ১ হাজার ৪৯৪ জন আনসার সদস্য দায়িত্বে ছিলেন। নিয়মানুযায়ী প্রত্যেক ইউনিয়ন থেকে দলনেতা (আনসার-ভিডিপি সদস্য) সাধারণ আনসার সদস্যদের ৫ দিনের ডিউটির জন্য জেলা কমাড্যান্টের কার্যালয়ে সুপারিশ করবেন। সে অনুযায়ী তাদের নিয়োগ দেয়া হয়।
৫ দিনের ডিউটির জন্য দলনেতা এবং প্লাটুন কমান্ডারদের ১৭৫০ এবং সাধারণ আনসারদের ১৬০০ টাকা করে দেয়ার কথা। কিন্ত অভিযোগ উঠেছে ডিউটিতে যোগ দেয়ার আগেই অধিকাংশ দলপতি সাধারণ আনসার সদস্যের কাছ থেকে ৪শ থেকে ৫শ টাকা করে নিয়েছেন।
সদরের আগদিয়ার চর গ্রামের আনসার সদস্য বলদেব সান্যাল জানান, তার গ্রুপের দলনেতা নলদীর চর গ্রামের আসাদ মিয়া মন্দিরে ৫ দিনের ডিউটির জন্য ৫শ টাকা নিয়েছেন।
মির্জাপুর পূর্বপাড়া মন্দিরে ডিউটিরত মিলন সিকদার, শাকিল, এনামুল ও আছিফ জানান, তারা প্রত্যেকে দলনেতা আনসার-ভিডিপি সদস্য লাকি পারভীনকে ৫শ টাকা করে দিয়েছেন।
এসব ভুক্তভোগিরা জানান, রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা ৫দিন ডিউটি করতে হয় এবং নড়াইল শহরে ২ দিন আসতে হয়। এর পরও বিভিন্ন ধরনের খরচ থাকে। সামান্য টাকা সম্মানির মধ্যে আবার ঘুষই যদি ৪শ থেকে ৫শ টাকা দিতে হয় তাহলে এই ডিউটি করে লাভটা কী?
তবে অভিযুক্ত বিভা রানী টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, কয়েক জায়গায় এসব অর্থ দিতে হয়। সাধারণ আনসার সদস্যদের কাগজপত্র তৈরি, বিভিন্ন মণ্ডপে যাওয়া-আসাসহ বিভিন্ন খরচ-খরচা থাকে। সেজন্য তাদের কাছ থেকে টাকা নেয়া হয়েছে।
সদর উপজেলা আনসার-ভিডিপি অফিসের উপজেলা প্রশিক্ষক মো. জসিমুদ্দিন জানান, সদর উপজেলায় মোট ১৪শ ৯৪ জন আনসারকে শ্রেণি ভেদে ১৭৫০ এবং ১৬শ করে টাকা দেয়া হচ্ছে। সোমবার থেকে এ অর্থ দেওয়া শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার জনকে অর্থ দেয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত অনিয়মের কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। কোনো অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
হাফিজুল নিলু/এফএ/আইআই