হত্যার পর লাশ টুকরা করে গুম : মূলহোতা ও সহযোগী গ্রেফতার

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি শেরপুর
প্রকাশিত: ০৭:৫০ পিএম, ৩১ জানুয়ারি ২০১৮

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে রোকশানা বেগম (২২) নামে এক তরুণীর দ্বিখণ্ডিত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় করা হত্যা মামলার মূল হোতা মাসুদ মিয়া (৩৪) ও তার সহযোগী আব্দুস সাত্তারকে (১৯) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার ভোরে ঢাকার দক্ষিণ খান এলাকার একটি ভাড়াটিয়া বাসা থেকে মাসুদকে গ্রেফতার করা হয়। তার আগেই রাতে নালিতাবাড়ীর চাঁদগাও গ্রামের চাহাপাড়ার বাড়ি থেকে শহর আলীর ছেরে আব্দুস সাত্তারকে গ্রেফতার করা হয়।

এ ঘটনায় সর্বমোট ৫ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এর আগে গত ২৬ জানুয়ারি এজাহারভুক্ত আসামি চাঁদগাও গ্রামের মজিবর রহমানের স্ত্রী আবেদা খাতুন, নুর ইসমাইলের স্ত্রী মিনারা বেগম এবং আব্দুল মোতালেবের মেয়ে রওশন আরা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়। তারা এখন জেলা কারাগারে রয়েছেন।

নালিতাবাড়ী থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) মো. সারওয়ার হোসেন বলেন, বুধবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকার দক্ষিণ খান এলাকার একটি ভাড়াটিয়া বাসা থেকে মাসুদকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে সাত্তার নামে তার আরেক সহযোগীকেও গ্রেফতার করা হয়। আগামীকাল বৃহস্পতিবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদনসহ মাসুদ ও সাত্তারকে বিচারিক আদালতে সোপর্দ করা হবে।

গত ১৭ জানুয়ারি ঝিনাইগাতী উপজেলার বনগাঁও পূর্বপাড়া গ্রামের স্বামী পরিত্যক্তা এক সন্তানের জননী রোকশানা বেগমকে চাল কলে কাজ করার কথা বলে ডেকে নেয় রাজনগর ইউনিয়নের চাঁদগাও গ্রামের মাসুদ।

এরপর থেকে ওই নারীর কোনো সন্ধান মেলেনি। শুক্রবার সকালে চাঁদগাওয়ের সুরতখাল সংলগ্ন মাসুদের মামা মোতালেবের আবাদি জমির মাটি খুঁড়ে পৃথক পৃথকভাবে পুঁতে রাখা অবস্থায় রোকশানার খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে এখনও তার হাত ও পায়ের কোনো সন্ধান মেলেনি।

এ ঘটনায় নিহতের মা জেলেহা বেগম বাদী হয়ে রোকশানাকে হত্যার পর পরিকল্পিতভাবে মরদেহ গুমের উদ্দেশ্যে টুকরা টুকরা করে পৃথকভাবে মাটিতে পুঁতে রাখার অভিযোগে মাসুদ, তার মামা মোতালেবসহ ১০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

হাকিম বাবুল/এএম/আইআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।