স্বেচ্ছাশ্রমে কাঠের সেতু নির্মাণ
নিজেদের যাতায়াত ব্যবস্থা গড়তে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার বাঘাইছড়িতে স্বেচ্ছাশ্রমে একটি চমৎকার কাঠের সেতু নির্মাণ করেছেন এলাকাবাসী।
উপজেলার রুপকারি ইউনিয়নের বারবিন্দু ঘাটে কাচালং নদীর ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়। স্বেচ্ছাশ্রম ছাড়াও এতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৬-৭ লাখ টাকা। এসব অর্থ ব্যয় হয়েছে জনগণের দানে।
সেতুর দৈর্ঘ্য ১৮০ ফুট এবং প্রস্থ ১২ ফুট। এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে ১ ফেব্রুয়ারি সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু করে তা সম্পন্ন হয় ২৫ ফেব্রুয়ারি। ২৬ ফেব্রুয়ারি সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
রুপকারি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শ্যামল কান্তি চাকমা জানান, পারাপারের জন্য বাঘাইছড়ি উপজেলার বারবিন্দু ঘাটের কাচালং নদীর ওপর দিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করে এলাকার মানুষ। ২৫ দিন কাজ করে চমৎকার ওই সেতুর নির্মাণ শেষ হয়।
দীর্ঘদিন ধরে এলাকার মানুষ মারিশ্যা ও রুপকারি ইউনিয়নে যাতায়াতের যোগাযোগে ভোগান্তিতে ছিলেন। সেতুটি হওয়ায় ওই দুই ইউনিয়নবাসীর সেই ভোগান্তি দূর হয়েছে। সেতুটির নির্মাণে মূল উদ্যোক্তা ছিলেন ধর্মতিষ্য ভান্তে। তার পরিকল্পনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে এলাকার মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে এ কাঠের সেতু নির্মাণ করে।
এলাকাবাসী জানায়, ধর্মতিষ্য ভান্তের প্রচেষ্টায় এলাকার লোকজনের স্বেচ্ছাশ্রমে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। এতে যা কিছু করেছেন, সবই ধর্মতিষ্য ভান্তের অবদান। সেতুটি হওয়ার কারণে উপজেলা সদরের সঙ্গে সব ইউনিয়নের যোগাযোগ সহজ হয়ে গেছে। এরপর যদি রুপকারি ইউনিয়নের করেঙ্গাতলীতে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হলে উপজেলা সদর ও করেঙ্গাতলী হয়ে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা ও বাঘাইহাট যোগাযোগ একদম সহজ হয়ে যাবে।
সুশীল প্রসাদ চাকমা/এএম/এমএস