নোয়াখালীতে জমে উঠেছে ছোটদের খেলনা বাজার

ঈদ মানে আনন্দ ঈদ মানে খুশী। আর ঈদকে সামনে রেখে ছোটদের নতুন জামা,জুতো, ঘড়ি, চশমার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের খেলনা সামগ্রীর বাজারও জমে উঠেছে। বিশেষ করে ঈদের সময় গ্রামীন মেলা ও ঈদগাহের পাশে ছোটদের জন্য প্লাস্টিকের খেলনা সামগ্রী নিয়ে স্বল্প সময়ের জন্য দেয়া খুচরা দোকানীরা ব্যস্ত খেলনা ক্রয়ে। পাশাপাশি বেচাকেনা ভালো হওয়াতে পাইকারি বিক্রেতারাও খুশী।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, জেলার প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্র চৌমুহনী রেলস্টেশনের আশপাশসহ বিভিন্ন শপিং মলে প্রায় শতাধিক দোকানে বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী তুলেছে পাইকারি দোকানগুলোতে। রাজধানী ঢাকার চকবাজার থেকে প্লাস্টিকের পুতুল, প্লাস্টিকের গাড়ী, কাঠের গাড়ী, বাঁশি, টার্গেট লাইট, পিস্তল, ম্যাজিক বল, ফুটবল,বেলুনসহ হরেক রকমের খেলনা সামগ্রী এখন বেচাকেনায় ব্যস্ত দোকানিরা।
জেলার দূর দূরান্ত হাট বাজার থেকে আসা বেশ কয়েকজন খুচরা খেলনা সামগ্রী কিনতে আসা দোকানদারা জানান , ঈদ অথবা বড় বড় উৎসবে গ্রামীন এলাকায় জমে উঠে মেলা। বিশেষ করে বৈশাখ অথবা মাঘ মাসে গ্রামগঞ্জের বিভিন্ন হাট-বাজার ও মাঠে ময়দানে ঐতিহ্যবাহী গ্রামীন মেলা বসে। তারা ঈদ উপলক্ষে মেলার পাশাপাশি প্রতিটি ঈদগাহ ময়দানের পাশেও তারা বিভিন্ন ধরনের পণ্য সামগ্রী নিয়ে দোকান বসান। এসব দোকানে মূলত শিশুদের জন্য বিভিন্ন খেলনা সামগ্রী থাকে। ঈদের দিন সকালেই শিশুরা ঈদ সালামি পেয়ে ছুটে আসে দোকানগুলোতে। ১০,২০ থেকে ১০০ টাকা দামে বিভিন্ন ধরনের খেলনা সামগ্রী কিনে তারা আনন্দ উৎসব করে। অনেকে অভিভাবকও ছোট্ট আদরের সোনামনিদের বায়না মিটাতে কার্পন্যবোধ করে না। আর এসব শিশুদের আনন্দ উৎসবের চাহিদার কথা মাথায় রেখে দোকানাীরা জেলার দুর দুরান্ত থেকে এসে চৌমুহনী বাজার ঘুরে বিভিন্ন ধরনের খেলনা সামগ্রী কিনে নিচ্ছে।
পাইকারী দোকানদাররা বলেন, ঈদ মৌসুমকে বেচাকেনার টার্গেট করে অনেকে দোকানদার ধারদেনা করে দেশ-বিদেশ থেকে শিশুদের জন্য নানা আইটেম খেলনা সামগ্রী নিয়ে এসেছেন। রমযানের শুরু থেকে বেচাকেনা ভালো হওয়ার কথা থাকলেও মাত্র এক সপ্তাহ আগ থেকে শুরু হয়েছে বেশি বেচাকেনা। এটি চলবে চাঁন রাত পর্যন্ত।
মিজানুর রহমান/আরএ/এমএস