বিদেশ গিয়ে স্ত্রী-সন্তানকে অস্বীকার

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি গাইবান্ধা
প্রকাশিত: ০৬:৪৭ পিএম, ০৫ মার্চ ২০১৯

গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলার বাড়াইপাড়া গ্রামের মৃত আবুল মিয়া সরকারের মেয়ে আমেনা বেগম স্বামী বাদশা মিয়ার কাছে স্ত্রীর অধিকার ও তার একমাত্র পুত্র সন্তানের পিতৃত্বের দাবি জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে গাইবান্ধা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে এ বিষয়ে একটা ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আমেনা বেগম বলেন, পলাশবাড়ি উপজেলার বৈরিহরিণমারি গ্রামের মৃত নিজাম উদ্দিনের ছেলে বাদশা মিয়া ১৯৯৪ সালে প্রথম স্ত্রীর কথা গোপন করে আমাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর প্রথম সন্তান আলামিনের জন্মের ছয় মাস বয়সে স্বামী বাদশা মিয়া কাজের উদ্দেশ্যে সৌদিআরবে চলে যান। সৌদিআরবে যাওয়ার তিন মাস পর থেকেই বাদশা মিয়া আমি ও আমার সন্তানের ভোরণপোষণ বন্ধ করে দিয়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। ফলে সন্তানকে নিয়ে চরম বিপাকে পড়ি আমি।

এ অবস্থায় অন্যের বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করে জীবন-জীবিকা নির্বাহসহ সন্তান লালন পালন করতে থাকি আমি। পরে সৌদিআরব থেকে বাদশা মিয়া নিজ বাড়িতে এসে বসবাস শুরু করলেও আমাদের খোঁজ নেয়নি। খবর পেয়ে স্ত্রীর অধিকার এবং সন্তানের পিতার স্বীকৃতির দাবিতে একাধিকবার তার বাড়িতে যাই।

কিন্তু বাদশা মিয়া প্রথম স্ত্রীর প্ররোচনায় আমি এবং আমার সন্তান আলামিনকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। ওই সময় বাদশা মিয়া জানিয়ে দেয় অনেক আগেই নাকি আমাকে তালাক দিয়েছে। অথচ তালাকের কোনো কাগজপত্র আমার কাছে আসেনি এবং তার কাছেও নেই।

সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে সন্তানের পিতৃত্বকে অস্বীকার এবং স্ত্রীর অধিকার থেকে বঞ্চিত করে আমাদেরকে সমাজে নানা লাঞ্ছনা এবং চরম দুর্ভোগের মুখে ঠেলে দিয়েছে বাদশা মিয়া।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- আমেনার ছেলে আলামিন মিয়া, বড় ভাই মো. মন্টু মিয়া, ভাতিজা মো. ওমর ফারুক ও প্রতিবেশী মো. শফিউল আলম।

এএম/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।