ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পারলেন স্বামী আর নেই
মাছ বিক্রি করে ৬ সদস্যের সংসার চালাতেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ছৈয়দ আলম (৪২)। এজন্য প্রতিদিনই মাছ কিনতে যেতেন। কিন্তু গত ৩০ সেপ্টম্বর মাছ কেনার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। ১ অক্টোবর সকালে মেরিন ড্রাইভ সড়কের হিমছড়ি সৈকত এলাকায় তার গুলিবিদ্ধ মরদেহ পায় পুলিশ। তবে সেদিন তার পরিচয় মিলেনি।
এরপর হিমছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠান। সেখানেই রাখা হয় মরদেহটি। ইতোমধ্যে ফেসবুকের বদৌলতে স্ত্রী রোজিনা আক্তার সেই খবর পান। পরে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে গিয়ে ছৈয়দ আলমের মৃত্যুর মরদেহ শনাক্ত করে বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়িতে নিয়ে আসেন।
পুলিশ জানিয়েছে ছৈয়দ আলম টেকনাফ সদর ইউনিয়নের খোনকারপাড়ার তানভির আহমদের ছেলে, পেশায় ক্ষুদ্র মৎস্যব্যবসায়ী। স্ত্রীর বরাত দিয়ে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল খায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ছৈয়দ আলম অল্প পুঁজি নিয়ে ব্যবসা করতেন। গত ৩০ সেপ্টম্বর তিনি মাছ কিনতে বের হয়ে আর বাড়ি ফিরেনি।
স্ত্রীর দাবি ছৈয়দ আলমের নামে কোনো মামলা ছিল না, কিংবা মাদক ব্যবসায়ও জড়িত ছিলেন না। কে বা কারা কেন তাকে হত্যা করল বুঝতে পারছেন না।
নিহতের ৪ সন্তানের মধ্যে বড় ছেলে ইমাম হোসেন (১৩) মহেশখালীয়া পাড়া বায়তুশ শরফ একাডেমিতে পঞ্চম শ্রেণিতে ও দ্বিতীয় ছেলে বেলাল হোসেন (১১) চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। এছাড়া তৃতীয় ছেলে জাকির হোসেন (৭) ও মেয়ে লিজা মনি (১)।
সায়ীদ আলমগীর/এমএমজেড/জেআইএম