প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মুক্তিযোদ্ধাকে খুন করলেন স্ত্রী

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি সুনামগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৫:০৪ পিএম, ০৩ নভেম্বর ২০১৯

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় এবার প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মুক্তিযোদ্ধা স্বামীকে খুন করলেন স্ত্রী। রোববার সকালে উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মুক্তিযোদ্ধার নাম আব্দুল বারিক (৭৫)। এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী আছিয়া খাতুনকে (৬০) আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সুলতানপুর গ্রামের বাসিন্দা কালা শাহের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর বারিকের মামলা সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে রোববার সকালে স্ত্রী আছিয়া বেগম স্বামী আব্দুর বারিককে শাবল দিয়ে আঘাত করে খুন করেন। এ সময় প্রতিবেশীরা ঘটনাটি দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত মুক্তিযোদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করে; সেই সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্ত্রী আছিয়া বেগমকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন ধরে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারিক ও কালা শাহের মধ্যে একটি হত্যা মামলা নিয়ে বিরোধ চলছে। কালা শাহ ছিলেন বাদী পক্ষের এবং মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর বারিক ছিলেন বিবাদীপক্ষের। তাই ধারণা করা হচ্ছে বাদীপক্ষকে ফাঁসাতে স্বামীকে খুন করেছেন স্ত্রী। পুলিশ স্ত্রীকে আটক করেছে।

দোয়ারাবাজার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাশেম বলেন, সুলতানপুর গ্রামের কালা শাহের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারিকের জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। এর আগে ২০১৭ সালে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারিকের পক্ষের সঙ্গে সংঘর্ষে কালা শাহের মেয়ের জামাই খুন হন। খুনের মামলায় আব্দুল বারিকের ছেলে সাবাজ আলী জেলে রয়েছেন। বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্য আব্দুল বারিককে হত্যা করেছেন স্ত্রী।

ওসি আরও বলেন, আব্দুল বারিকের ঘর থেকে রক্তমাখা লোহার শাবল উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের মাথায় শাবলের কয়েকটি আঘাত রয়েছে। মুক্তিযোদ্ধার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।

মোসাইদ রাহাত/এএম/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।