শহীদ সাংবাদিক সাঈদের সন্তানকে চাকরির আশ্বাস দিলেন মেয়র

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক রাজশাহী
প্রকাশিত: ০৭:৪৯ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯

রাজশাহীর শহীদ বুদ্ধিজীবী সাংবাদিক এমএ সাঈদের পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন রাজশাহীর সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। মেয়র তার দ্বিতীয় ছেলে এসএম আলমগীর হোসেন বাবলুর এক ছেলেকে চাকরির আশ্বাস দেন।

শহীদ সাংবাদিক এমএ সাঈদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পাওয়া রাষ্ট্রীয় ভাতা ভাগ হয় তার ১৩ সন্তানের মাঝে। সেই টাকায় সংসার চলে না চার ছেলে ও চার মেয়ের জনক বাবলুর। আগে রিকশা চালাতেন তিনি। এখন নগরীর শিরোইল বাস টার্মিনালের সামনের ফুটপাতে চা বিক্রি করেন। মাঝে মধ্যে রাসিক ফুটপাত উচ্ছেদ করলে বেকার হয়ে পড়েন তিনি।

এছাড়া বাবলুর মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। বর্তমানে নগরীর মালদা কলোনিতে দুই রুমের ভাড়াবাড়িতে কোনো রকমে বাস করছেন তিনি। বাড়িভাড়া দিতেই চলে যায় তার আয়ের পুরো টাকা। অর্থাভাবে সন্তানদের পড়াশোনাও বন্ধ হয়ে গেছে। এখন সন্তানদের নিয়ে ফুটপাতে চা বিক্রি করেন তিনি।

সাংবাদিক এমএ সাঈদ তৎকালীন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। রাজশাহী প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন তিনি। রাজশাহী বেতার প্রতিষ্ঠাকালে বাংলা খবর পাঠক ও অভিনেতা ছিলেন তিনি।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি বাহিনী তাকে বাড়ি থেকে ধরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুজ্জোহা হলে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে হত্যার পর মরদেহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বধ্যভূমিতে ফেলে দেয়।

এমএ সাঈদ শহীদ হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু তার পরিবারকে সাড়ে তিন হাজার টাকা এবং একটি সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সার্টিফিকেটটি হারিয়ে ফেলেছে সন্তানরা। সম্প্রতি শহীদ এ সাংবাদিকের সন্তানের দুরবস্থার সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে নজরে আসে মেয়র লিটনের।

সেই সূত্রে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে মেয়রের একান্ত সচিব আলমগীর কবির নগরীর মালদা কলোনিতে বাবলুর বাড়ি যান। ওই সময় তিনি বাবলুসহ পরিবারের সদস্যদের জানান, মেয়র তার এক ছেলেকে চাকরির ব্যবস্থা করে দেবেন।

ফেরদৌস/এমএএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।