পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.৮ ডিগ্রি, কষ্টে খেটে খাওয়া মানুষ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি পঞ্চগড়
প্রকাশিত: ০১:৪২ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯

আবারও কমেছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে সর্বনিম্ন ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। একই সঙ্গে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ২২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে গত বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হওয়া টানা চারদিনের শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে তেঁতুলিয়া উপজেলাসহ গোটা জেলার জনজীবন। শনিবার বেলা ১১টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢেকে ছিল গোটা আকাশ। সড়ক-মহাসড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। দুপুরে সোনালি রোদের ঝলক কিছুটা স্বস্তি দেয় শীতার্ত মানুষকে। তবে উত্তরের হিমেল বাতাসের কারণে কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন রিকশা-ভ্যান চালকসহ খেটে খাওয়া মানুষ।

Panchagarh-Cold-Wave

জেলা শহরের ডোকরোপাড়া মহল্লার দিনমুজুর আব্দুল জব্বার বলেন, শীত-বৃষ্টি নেই পেটের তাগিদে প্রতিদিন কাজে বের হতে হয়। এই ঠান্ডার কারণে ঠিকমত কাজ পাওয়া যায় না। কাজ পেলেও ঠান্ডায় হাত পা হিম হয়ে আসে। এ জন্য ঠিকমত কাজও করতে পারি না। এই শীতে পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে দিন পার করছি।

এদিকে জেলার প্রায় দুই লাখ শীতার্ত মানুষের বিপরীতে এই পর্যন্ত সরকারিভাবে মাত্র ৪০ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। যা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। তবে সরকারি বরাদ্দ ছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় দানশীল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বিচ্ছিন্নভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানায় জেলা প্রশাসন।

পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আব্দুল মান্নান বলেন, এ পর্যন্ত ৪০ হাজারের বেশি শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। দুস্থদের মাঝে শুকনো খাবারসহ এক লাখ টাকা নগদ বিতরণ করা হয়েছে। আরও শীতবস্ত্রের চাহিদা জানিয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে।।

সফিকুল আলম/আরএআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।