১০ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে বেলকোন
সারাদেশে করোনা সংকট বিরাজ করছে। সচেতনতায় সব ধরনের জনসমাগম, রাস্তায় যান চলাচল নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে মাইকিং করে প্রচার করা হয়েছে। ফলে নওগাঁয় অঘোষিত লকডাউন চলছে।
এতে রাস্তাঘাটে যান চলাচল সীমিত হয়ে পড়েছে। স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। গত কয়েকদিন থেকে হোম কোয়ারেন্টাইন পালন করতে গিয়ে রিকশা ও ভ্যানচালক, দিনমজুর ও নিম্নআয়ের মানুষের আয়-রোজগারের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। ঘরে খাবার না থাকায় কষ্ট করে দিন পার করতে হচ্ছে তাদের।
এ অবস্থায় উত্তরবঙ্গের চাল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নওগাঁর ‘বেলকোন গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রি’ কর্মহীন, দিনমজুর ও নিম্নআয়ের ১০ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে। সরকারের ডাকে সাড়া দিয়ে ব্যক্তিগত উদ্যোগে বেলকোন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বেলাল হোসেন এ সহায়তা দিচ্ছেন।
সোমবার সকাল থেকে শহরের বাইপাস বি.এইচ স্পেশালাইজড কোল্ড স্টোরেজ চত্বরে এসব খাদ্যসামগ্রী প্যাকেট করা হয়। সেই সঙ্গে চলে বিতরণের কার্যক্রম। প্রতি প্যাকেটে রয়েছে পাঁচ কেজি চাল, দুই কেজি ডাল, দুই কেজি আলু ও এক লিটার তেল।
সদর উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের শেফালি বেগম বলেন, আমার পরিবারের সদস্য সংখ্যা চারজন। গত কয়েক দিন কোথাও কোনো কাজ খুঁজে পাইনি। দুদিন থেকে খুব কষ্ট করে দিন পার করতে হচ্ছে। সরকারি সহায়তা পাইনি। বেলকোনের খাবার পেয়ে আমার মনটা ভরে গেল।
বেলকোনের জেনারেল ম্যানেজার আবু ওয়াহিদ হোসেন আলাল বলেন, যারা শ্রমজীবী; দিনে এনে দিনে খায় এমন মানুষের তালিকা করেছি আমরা। ওসব পরিবারের মাঝে আমরা খাবার পৌঁছে দিচ্ছি।
বেলকোনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বেলাল হোসেন বলেন, যেকোনো দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি। করোনার সংকটকালে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি আমরা। যে পরিমাণ খাদ্য বিতরণ করা হচ্ছে- আশা করছি একটা ছোট পরিবার তিনদিন চালাতে পারবে। আজ যাদেরকে সহায়তা করা হচ্ছে তারা কেউ অসহায় ছিলেন না। কোনো না কোনো কাজ করে তারা জীবিকা নির্বাহ করতেন। বর্তমানে পরিস্থিতির কারণে এখন কর্মহীন হয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন তারা।
তিনি বলেন, প্রতিটি মহল্লায় ২৫ জন করে তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দলনেতার কাছে খাবার পৌঁছে দেয়া হবে। এরপর দলনেতা প্রতিটি পরিবারের কাছে নিজ দায়িত্বে সেগুলো বিতরণ করবেন। এতে করে কোনো ধরনের জনসমাগম হবে না। প্রয়োজনে খাদ্য সহায়তা বাড়ানো হবে।
আব্বাস আলী/এএম/বিএ