হটলাইনে কল দিলেই বাড়িতে চলে যাবে ডাক্তার ও নার্স
করোনাভাইরাসের আতঙ্কে লক্ষ্মীপুরসহ সারাদেশ আজ বিপর্যস্ত। দেশের এ ক্রান্তিলগ্নে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে ভয় পাচ্ছে মানুষ। আবার সামান্য অসুখেও হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না। সেবা দেয়ার জন্য দেশের সরকারি প্রত্যেকটি হাসপাতালেই ২৪ ঘণ্টা হটলাইন সার্ভিস চালু রয়েছে। তবে লক্ষ্মীপুরে এবার হটলাইনে ফোন দিলেই বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে চিকিৎসকদের ভ্রাম্যমাণ টিম।
এ সেবা পেতে হটলাইন দুটি নম্বর হলো- ০১৮৮৯৭৫৩০৩০ ও ০১৬৩১৬২০৮০৫। ২৪ ঘণ্টা হটলাইন নম্বর দুটি খোলা রয়েছে। ‘ডাক্তার যাবে বাড়ি’ স্লোগানে ইতোমধ্যে বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে চিকিৎসাসেবা দিয়েছে চিকিৎসকদের ভ্রাম্যমাণ দুটি টিম।
রোববার (৫ এপ্রিল) দুপুরে মেডিকেল টিমগুলোর তদারকিতে থাকা এক কর্মকর্তা বলেন, গ্রামের অসুস্থ মানুষগুলো যেন ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল টিমের মাধ্যমে সঠিকভাবে চিকিৎসা পায়, এজন্য আমরা এটি মনিটরিং করছি। ইতোমধ্যে অনেক রোগীর বাড়ি থেকে কল দেয়া হয়েছে। চিকিৎসকরাও গিয়ে চিকিৎসা দিয়ে এসেছেন। করোনা সংকট মোকাবেলায় মেডিকেল টিমের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
জানা গেছে, অধ্যক্ষ এমএ সাত্তার ট্রাস্টের সহযোগিতায় ও সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের উদ্যোগে বাড়ি বাড়ি গিয়ে চিকিৎসা দেয়ার জন্য দুটি টিম গঠন করা হয়েছে। এতে দুটি অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে দুজন চিকিৎসক ও দুজন নার্স ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসা দেয়ার জন্য প্রস্তুত। জরুরি প্রয়োজনে হটলাইনের মাধ্যমে রোগীকে বাড়ি গিয়ে তারা চিকিৎসা দেবেন।
কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার ড. এএইচএম কামরুজ্জামান ও সিভিল সার্জন ডা. আবদুল গাফ্ফার। এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম সালাহ উদ্দিন টিপু ও সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আনোয়ার হোসেন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, লক্ষ্মীপুরে হোম কোয়ারেন্টাইনের তালিকায় ১ হাজার ৮৮২ জন ছিলেন। এর মধ্যে ১ হজার ৫৪১ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। বর্তমানে ৩৪১ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। ১৩ জনের করোনা নমুনা সংগ্রহ করে টেস্ট ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার (৩ এপ্রিল) পর্যন্ত ১১টি নমুনার রেজাল্টে এসেছে। এর মধ্যে কেউই করোনা আক্রান্ত নন।
লক্ষ্মীপুরের সিভিল সার্জন আবদুল গাফ্ফার জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের দুজন চিকিৎসককে দায়িত্ব দিয়ে ভ্রাম্যমাণ টিম গঠন করা হয়েছে। হটলাইনে কল পেলেই তারা বাড়িতে গিয়ে রোগীর চিকিৎসা দেবেন।
কাজল কায়েস/এমএএস/এমকেএইচ