রূপ বদলায়নি মহিষলুটি মাছের আড়ত

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৯:৫৪ পিএম, ১১ এপ্রিল ২০২০

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু সিরাজগঞ্জের তাড়াশের মহিষলুটি মৎস্য আড়তে কেউই এ নির্দেশনা মানছেন না। প্রতিদিন ভোর থেকে শুরু হয় এ মাছের আড়ত। যেখানে ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, পাবনা ও নাটোরসহ বিভিন্ন জেলার পাইকারা আসেন মাছ কেনা-বেচা করতে। এখান থেকে করোনা ছড়ানোর আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল।

অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় নওগাঁ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মজনু তার ইচ্ছেমতো সবাইকে ম্যানেজ করে নিজের লাভের জন্য এই আড়ত পরিচালনা করে আসছেন। স্থানীয়রা কেউ কিছু বলতে গেলে তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে থাকেন তিনি।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকারা মহিষলুটি মৎস্য আড়তে মাছ কেনা-বেচার জন্য আসেন। আড়াতের মধ্যে নেই কোনো হাত ধোয়ার ব্যবস্থা, অন্য জেলা থেকে যারা আসেন তারা মাস্কও ব্যবহার করেন না।

স্থানীয়রা আরো জানান, নওগাঁ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মৎস্য আড়ত কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান মজনুকে একাধিকবার বলেও কোনো লাভ হয়নি। পরে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। নির্বাহী কর্মকর্তা আড়ত কমিটির সভাপতি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মজনুকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আড়ত পরিচালনার নির্দেশ দিলেও সেই নির্দেশ অমান্য করে নিজের ইচ্ছেমতো জনসমাগম করে আড়ত পরিচালনা করে আসছেন মজনু।

এ বিষয়ে মিজানুর রহমান মজনু বলেন, মহিষলুটি মৎস্য আড়তে আমি হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করেছি। শুধু তাই নয় দূর দূরন্ত থেকে আসা পাইকারদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশও দিয়েছি। আড়তে সবাই দূরত্ব বজায় রেখেই মাছ কেনা-বেচা করছে।

তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইফ্ফাত জাহান বলেন, মাছের আড়ত চলবে, তবে খুব কম সময় পর্যন্ত। আমরা স্থানীয় চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যেন স্বল্প পরিসরে লোক সমাগম না করে মাছ কেনা-বেচা করেন। যদি সে নির্দেশ কেউ না মানে তাহলে আড়ত বন্ধ করে দেয়া হবে।

ইউসুফ দেওয়ান রাজু/এফএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।