জানালা ভেঙে পালালেন আইসোলেশনে থাকা হাজতি
যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিট থেকে হ্যান্ডকাপসহ সুজন ওরফে শাকিল (২৫) নামে এক হাজতি পালিয়ে গেছেন। রোববার (১২ এপ্রিলর) রাত ১০টার দিকে ওয়ার্ডের একটি জানালা ভেঙে তিনি পালিয়ে যান।
পলাতক সুজন যশোর কোতয়ালী থানার এক কিশোরী অপহরণ মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি। তিনি রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার বাহাদুরপুর কাজীপাড়া মল্লিকবাড়ির রণজিৎ কুমার মল্লিকের ছেলে। গত কয়েক বছর ধরে যশোর শহরের বারান্দি মোল্লাপাড়া আমতলা হাসান মুহুরির বাড়িতে ভাড়া থাকেন। তিনি পেশায় গাড়িচালক।
কোতয়ালী থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ তাসমিম আলম জানান, সুজন গত ৪ এপ্রিল পুরাতন কসবার বাসিন্দা এক ব্যাংক কর্মকর্তার স্কুলপড়ুয়া অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে গেলে মেয়েটির বাবা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সুজনের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা করেন। এ মামলায় পুলিশ তাকে ১০ এপ্রিল গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।
কিন্তু সুজনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকায় তাকে কারাগার থেকে ওইদিন সন্ধ্যায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এরপর তাকে হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। সেখান থেকে রোববার রাতে জানালা ভেঙে হ্যান্ডকাপসহ সুজন পালিয়ে যান।
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার তুহিন কান্তি খান জানান, রাত ১০টার দিকে দায়িত্বরত সেবিকা তুলি তাকে ওষুধ খাওয়ার জন্য গেলে পলায়নের বিষয়টি ধরা পড়ে। তার প্রহরায় আইসোলেশন ওয়ার্ডের বাইরের দুই পাশে দুইজন পুলিশ ও চারজন কারারক্ষী ডিউটি করছিলেন। কিন্তু পেছনের জানালা ভেঙে পালানোয় তারা টের পাননি।
আরএআর/পিআর