এবার বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স লকডাউন
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স চালকসহ দুজন করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া হাসপাতালে কর্মরত সকল ডাক্তার, নার্স ও কর্মচারীদের হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
রোববার বিকেলে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মীর হোসেন মিঠু। তিনি জানান, তিনদিন আগে হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালকসহ পাঁচজনের নমুনা ঢাকায় পাঠান হয়েছিল। রোববার গাড়িচালক এবং উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের ১০ বছরের এক শিশুর রিপোর্ট পজেটিভ আসে। তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও আক্রান্ত শিশুটির বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, হাসপাতালের চিকিৎসক ও তার সহকারীসহ ১১ জন, নার্স ১২ জন এবং অন্যান্য কর্মীসহ ৩০/৩৫ জন রয়েছেন। আগামীকাল (২০ এপ্রিল) তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। রিপোর্ট আসা পর্যন্ত হাসপাতালের বহির্বিভাগের সকল চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ চালু থাকবে।
এ নিয়ে উপজেলার ৬৮ জনের নমুনা সংগ্রহের পর পরীক্ষায় পজেটিভ এসেছে চারজন শিশু, দুজন নারী ও একজন পুরুষের।
বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরুল হাসান জানান, নতুন করোনা আক্রান্ত শিশুটির পরিবার ঢাকা থেকে গ্রামে এসেছিল। শিশুটির বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স চালক করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ফলে আপাতত হাসপাতাল লকডাউন করা হয়েছে। তবে জরুরি বিভাগ খোলা থাকবে।
এছাড়া রোববার দাউদকান্দির এক গার্মেন্টকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শাহীনুর আলম সুমন জানান, উপজেলার পাঁচ গাছিয়া ইউনিয়নের চিরার চর গ্রামের নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা গার্মেন্টকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। এবার তার স্ত্রীও আক্রান্ত হলেন। নারীর বয়স ৩৪ বছর।
এদিকে রোববার পর্যন্ত এ জেলায় ৩৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. মো. নিয়াতুজ্জামান।
মো. কামাল উদ্দিন/এমএআর/এমএস