ঝুপড়ি ঘর থেকে সেই স্বাস্থ্যকর্মীকে বাড়িতে নিয়ে গেল পুলিশ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি গোপালগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৮:৩৯ পিএম, ২৭ এপ্রিল ২০২০

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার নির্দেশে তালপাতা দিয়ে বানানো একটি ঝুপড়ি ঘরে কোয়ারেন্টাইনে রাখা ঢাকাফেরত ওই নারী স্বাস্থ্যকর্মীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার দুপুরে তাকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যায় পুলিশ। পরে তাদের ঘরের পাশে একটি ঘর তুলে সেখানে রাখা হয় স্বাস্থ্যকর্মীকে। এছাড়া তালপাতার সেই ঝুপড়ি ঘর ভেঙে দিয়েছে পুলিশ।

ওই নারীর (২১) বাড়ি কোটালীপাড়া উপজেলার লখণ্ডা গ্রামে। ঢাকার ইমপালস হাসপাতালে চিকিৎসকের অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে চাকরি করেন তিনি।

করোনায় আক্রান্ত রোগী পাওয়ার পর ওই হাসপাতালের কয়েকটি বিভাগ বন্ধ করা হয়। সে কারণে গত মঙ্গলবার বাড়ি ফেরেন ওই নারী। পরে তার ফেরার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী জড়ো হয়। সেই সঙ্গে বাড়ির প্রায় ৪০০ মিটার দূরে পুকুর পাড়ে তালপাতা দিয়ে ঝুপড়ি ঘর তৈরি করে তাকে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বাধ্য করা হয়

ওই স্বাস্থ্যকর্মীর মায়ের অভিযোগ, উপজেলার সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রশান্ত বাড়ৈ চাপ সৃষ্টি করে তার মেয়েকে তালপাতা দিয়ে বানানো একটি ঝুপড়ি ঘরে রেখেছিলেন। এজন্য ওই আওয়ামী লীগ নেতার শাস্তি দাবি করেন তিনি।

এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ নেতা প্রশান্ত বাড়ৈ বলেন, এলাকাবাসীর সিদ্ধান্তে ওই নারী স্বাস্থ্যকর্মীকে পুকুরের মধ্যে ঝুপড়ি ঘর তৈরি করে সেখানে রাখা হয়েছে।

কোটালীপাড়া থানা পুলিশের ওসি শেখ লুৎফর রহমান বলেন, ঝুপড়ি ঘর থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করে তাদের ঘরের পাশে নতুন একটি ছাপরা ঘর তুলে সেখানে তাকে রাখা হয়েছে। ওই ঝুপড়ি ঘর ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ওই নারী স্বাস্থ্যকর্মী অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মাহফুজুর রহমান বলেন, আমি ওই নারী স্বাস্থ্যকর্মীর বাড়িতে গিয়েছিলাম। তাকে আমরা কিছু খাদ্য সহায়তা দিয়েছি এবং কোনো সমস্যা হলে আমাদের জানাতে বলেছি। ওই নারীর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ফরিদপুর পাঠানো হবে এবং এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এএম/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।