১৫ হাজার কর্মহীন পরিবারকে ইসফাক আহসানের উপহার

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৪৮ পিএম, ২৯ এপ্রিল ২০২০

করোনাভাইরাসের কারণে কর্মহীন, অসহায় ও নিম্নবিত্তসহ বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষের বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন আহসান গ্রুপের পরিচালক ও শিল্পপতি এম ইসফাক আহসান। কোথাও কোথাও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে খাদ্য সামগ্রী বিতরণও করা হয়েছে।

এ পর্যন্ত হেল্পলাইনের মাধ্যমে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা ও মতলব দক্ষিণ উপজেলার ১৫ হাজার পরিবারকে উপহার হিসেবে এ খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন ইসফাক আহসান। যারাই হেল্পলাইনে সহযোগিতা চেয়ে কল করছেন তাদের বাড়িতেই পৌঁছে দেয়া হচ্ছে খাদ্যসামগ্রী। এতে করে উপকৃত হচ্ছে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের অসহায়-কর্মহীন মানুষজন।

relief

গত ১২ এপ্রিল থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত মতলব উত্তর উপজেলায় ৮ হাজার পরিবার এবং মতলব দক্ষিণ উপজেলায় ৭ হাজার পরিবারকে দেয়া এ খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ৫ কেজি চাল, ৩ কেজি আলু, ২ কেজি ডাল, ১ লিটার তেল ও এক কেজি পেঁয়াজ। প্রতিদিনই এ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ চলছে।

এই দুর্দিনে ইসফাক আহসানের উপহার পেয়ে কেঁদে ফেলেন বৃদ্ধা আমিরুনেচ্ছা। তিনি বলেন, আমার স্বামী মারা গেছে অনেক আগে। তিন সন্তানের মধ্যে দুই মেয়ে শ্বশুর বাড়িতে। আর একমাত্র ছেলে নারায়ণগঞ্জে পোশাক শ্রমিক। ঘরে খাবার ছিল না। আল্লাহর রহমতে একজন চাল, ডাল, তেল দিয়ে গেছেন।

relief

এ বিষয়ে শিল্পপতি এম ইসফাক আহসান বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে চলমান লকডাউনে মানুষজন কর্মহীন হয়ে পড়েছে। তাই আমি মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। যারা হেল্পলাইনে কল করছে তাদের বাড়িতে স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে খাদ্যসহায়তা পৌঁছে দিচ্ছি।

relief

তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ১৫ হাজারেরও বেশি পরিবার এই উপহা সামগ্রী গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে প্রথম পাঁচ হাজার পরিবারকে উপহার দেয়া হয়েছে চাঁদপুর জেলা পুলিশের সহযোগিতায়। পুলিশ তাদের ঘরে ঘরে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে। তবে গত কয়েকদিন ধরে আমাদের নিজস্ব ভলান্টিয়ার বাড়ি বাড়ি খাদ্য সামগ্রী দিয়ে আসছেন। ভবিষ্যতেও এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। যে কোনো পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকবো।

এইচএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।