গোপালগঞ্জে আদালতের ৭ কর্মচারীর বেতন বন্ধ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি গোপালগঞ্জ
প্রকাশিত: ০১:৩৫ পিএম, ০১ মে ২০২০
ফাইল ছবি

গোপালগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সাত কর্মচারীর বেতন গত সাত মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে এসব কর্মচারী বেতনভাতা না পেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে দুর্ভোগে আছেন।

গোপালগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. আজাদুর রহমান জানান, ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগকে পৃথক করা হয়। সে সময় গোপালগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জেলা প্রশাসনের ১৬ কর্মচারী যোগদান করেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আইন মন্ত্রণালয়কে ওই ১৬ কর্মচারীকে আত্মীকরণ করতে বলে। কিন্তু তারা আত্মীকরণ না হয়ে উচ্চ আদালতে রিট করেন। পরবর্তীতে উচ্চ আদালত থেকে তাদের আত্মীকরণের আদেশ প্রদান করা হয়। সরকার এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। এটি বিচারাধীন রয়েছে।

তিনি আরও জানান ১৬ কর্মচারীর মধ্যে সেই সময় দু’জন ডিসি অফিসে ফিরে যান। এক জন চাকরিচ্যুত হয়েছেন। সম্প্রতি আরও ছয়জন ডিসি অফিসে যোগ দিয়েছেন। এখন তারা সাতজন রয়েছেন।

বেঞ্চ সহকারী মো. আজাদুর রহমান বলেন, ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর থেকে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আমাদের বেতর ভাতা গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক দিয়ে আসছিলেন। জেলা প্রশাসক গত অক্টোবর মাস থেকে জারিকারক ও নভেম্বর মাসে ছয় বেঞ্চ সহকারীর বেতন ভাতা বন্ধ করে দেন। সাত কর্মচারীর বেতন ভাতা বন্ধে আদালত বা প্রশাসনিক কোনো আদেশ নেই।

তিনি আরও জানান, তাদের বেতন ভাতা চালুর জন্য গত ২০ জানুয়ারি ও ৮ এপ্রিল গোপালগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে চিঠি পাঠানো হয়। কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হয়নি।

ওই আদালতের জারিকারক দেলোয়ার হোসেন বলেন, দীর্ঘ সাত মাস বেতন ভাতা না পেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে অনাহারে দিন কাটাচ্ছি। করোনা সংক্রমণের মধ্যে এ সংকট আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে। কেউ টাকা ধার দিচ্ছে না। দোকান থেকে বাকিতে পণ্য কিনতে পারছি না।

গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, বিচার বিভাগ পৃথক হওয়ার সময় আমাদের জনবল, আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন সাপোর্ট দিয়ে আমরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতকে সহযোগিতা করেছিলাম। ২০১৪ সালের মধ্যে তাদের সব নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন ডিসি অফিসে ফিরে এসেছেন। সাতজন এখনও ফিরে আসেননি। তাদের পদ শূন্য হয়নি। তাই নতুন লোক নিয়োগ দিতে পারছি না। ডিসি অফিসের কাজের অসুবিধা হচ্ছে। তারা ডিসি অফিসে যোগ দিলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। ফিরে না আসলে তাদের পেনশন নিয়েও জটিলতা তৈরি হবে।

এস এম হুমায়ুন কবীর/আরএআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।