এমপি শাহজাহান কামালের উপহার পেল ১৬ হাজার পরিবার
করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সঙ্কট নিরসনে লক্ষ্মীপুরের সংসদ সদস্য (এমপি) একেএম শাহজাহান কামালের উপহার হিসেবে ১৬ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে।
গত তিন সপ্তাহ ধরে তার নির্বাচনী এলাকার লক্ষ্মীপুর পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়নের দিনমজুর, গরিব-অসহায় মানুষের বাড়ি বাড়ি এসব খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয়।
শনিবার এমপির এপিএস ও জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক বায়েজীদ ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া এমপির পক্ষ থেকে নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন মসজিদ-মাদরাসায় ইফতারসামগ্রী বিতরণ করছেন বায়েজীদ।
শাহজাহান কামাল লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য। তিনি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী। প্রবীণ এই নেতা লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক ছিলেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শাহজাহান কামাল সপরিবারে ঢাকায় অবস্থান করলেও তার এপিএসকে দিয়ে নির্বাচনী এলাকার অসহায় মানুষকে সহযোগিতা করছেন। বায়োজীদ ভূঁইয়া লক্ষ্মীপুর পৌরসভা, বাঙ্গাখাঁ, লাহারকান্দী, ভবানীগঞ্জ, দত্তপাড়া, চরশাহীসহ ১২টি ইউনিয়নের ১৬ হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন। এর মধ্যে প্রায় আট হাজার পরিবারকে চাল-ডাল, আলু ও পেঁয়াজসহ বিভিন্ন পণ্য দিয়েছেন। বাকিদের মাঝে চাল বিতরণ করা হয়।
এমপির পক্ষ থেকে জেলা সদরে চিকিৎসক, পুলিশ ও সাংবাদিকদের জন্য সুরক্ষা পোশাক দেয়া হয়েছে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কমাতে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার প্রায় তিন হাজার মানুষের মাঝে মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস বিতরণ করা হয়। মোবাইল ফোনে কল পেয়ে কিছু অসহায়দের বাড়ি গিয়েও খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বায়েজীদ ভূঁইয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও এমপি শাহজাহান কামালের নির্দেশনা অনুযায়ী শ্রমজীবী মানুষের খাদ্য সঙ্কট দূর করতে তৃণমূল পর্যায়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। করোনা সঙ্কট দূর হওয়া পর্যন্ত জনপ্রতিনিধি ও দলীয় নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় করে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
এ ব্যাপারে একেএম শাহজাহান কামাল এমপি বলেন, করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে ঘরে নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া করতে হবে। সরকারের নির্দেশনা মেনে সঙ্গরোধ ও শারীরিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। অসহায়দের খাবারের ব্যবস্থা করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী উপহার হিসেবে খাদ্যসামগ্রী বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। রমজানেও যেন কেউ খাদ্য সঙ্কটে না থাকে, আমরা সে লক্ষ্য কাজ করছি।
কাজল কায়েস/এএম/এমকেএইচ