বুঝিয়ে শ্বশুরবাড়িতে পাঠানোর দুদিন পরই মেয়ের মৃত্যুখবর পেল পরিবার
নড়াইলে বিয়ের চার মাসের মাথায় শ্বশুরবাড়ি থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে পুলিশ ওই নারীর মরদেহ উদ্ধারসহ তার স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে।
নিহত বিথী খানম (১৯) নড়াইল পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের বাগবাড়ি-রঘুনাথপুর এলাকার হাবিবুর রহমানের মেয়ে। তিনি যশোর এমএম কলেজের অনার্সের ছাত্রী ছিলেন। চার মাস আগে সদর উপজেলার আউড়িয়া ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামের আব্দুল মোমেনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।
বিথীর চাচা মো. খালিদ হাসান বলেন, বিথীর সঙ্গে মোমেনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে অশান্তি লেগেই থাকত। অনেকদিন ধরেই বিথীকে তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন নির্যাতন করে আসছিল। নির্যাতন সইতে না পেরে বিথী দু’মাস আগে বাবার বাড়িতে চলে আসে। দু’দিন আগে বিথীর স্বামীর বাড়িতে যাওয়া নিয়ে সালিশ বসে। সালিশে বিথীর স্বামী মোমেন ও তার বাড়ির লোকজন আর নির্যাতন করবে না বলে মৌখিক অঙ্গীকার করলে পরিবার তাকে বুঝিয়ে শ্বশুরবাড়িতে ফেরত পাঠায়। পরে সে স্বামীর বাড়িতে গিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে খবর পাঠানো হয়।
বুধবার সকালে কমলাপুর গ্রামে গিয়ে তার মরদেহ দেখতে পান বলে জানান বিথীর চাচা খালিদ। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠায়।
নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস হোসেন জানান, বিথীর মৃত্যুর ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার স্বামী মোমেনকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর জানা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা।
হাফিজুল নিলু/এফএ/এমএস