ফেনীতে স্বাস্থ্যকর্মীসহ ২৩ জনের দেহে করোনা শনাক্ত
ফেনীতে প্রাণঘাতি করোনায় আরও ২৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। শনিবার দুপুরে সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, আক্রান্তদের মধ্যে ফেনী সদরে ১০ জন, সোনাগাজীতে ৭ জন, ছাগলনাইয়ায় ৩ জন, ফুলগাজীতে ১ জন ও পরশুরামের ২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। জেলায় এখন পর্যন্ত ২৪৮ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। সুস্থ হয়েছে ৬৩ জন ও এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৪ জন বলে জানান তিনি।
স্বাস্থ্য বিভাগের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, সদর উপজেলায় ১০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তাদের ৫ জনই একই পরিবারের। আক্রান্তদের মধ্যে সোনাগাজীর চর গনেশ গ্রামের একজন ব্যাংকার রয়েছেন। অপর আক্রান্তরা উপজেলার চরছান্দিয়া, মঙ্গলকান্দি, মতিগঞ্জ, নবাবপুর, চরমজলিশপুর ইউনিয়নের চান্দলা এলাকার বাসিন্দা।
মঙ্গলকান্দি ইউনিয়নের এক ব্যক্তির দ্বিতীয়বারের নমুনায়ও পজিটিভ এসেছে। ছাগলনাইয়া উপজেলায় আক্রান্ত তিনজনের মধ্যে পাঠানগড় এলাকার ২ জন ও পৌরসভারর পশ্চিম ছাগলনাইয়া এলাকার ১ জন রয়েছেন।
পরশুরাম উপজেলার একটি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মী ও দক্ষিণ শালধর এলাকার একজনের করোনা শনাক্ত হয়। এছাড়াও ফুলগাজী উপজেলায় আনন্দপুর ইউনিয়নের উত্তর আন্দপুর গ্রামের একজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
জেলা করোনা নিয়ন্ত্রণকক্ষের সমন্বয়ক ডা. শরফুদ্দিন মাহমুদ জানান, শুক্রবার জেলায় পর্যন্ত ২ হাজার ১৯৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় এবং নোয়াখালী আবদুল মালেক মেডিকেল কলেজ থেকে ১ হাজার ৭৫৯ জনের প্রতিবেদন আসে।
তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত জেলায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬৩ জন। এদের মধ্যে সদরে ২১ জন, সোনাগাজীতে ৮ জন, ছাগলনাইয়ায় ১৩ জন, দাগনভূঞায় ১০ জন, পরশুরামে ৭ জন ও ফুলগাজীতে ৪ জন।
জেলায় এখন পর্যন্ত ২৪৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ফেনী সদরের ৯২ জন, ছাগলনাইয়ায় ২৭ জন, দাগভূঞায় ৭৭ জন, সোনাগাজীতে ২৯ জন, ফুলগাজীতে ১০ জন ও পরশুরামে ৮ জন। অপর ৫ জন পার্শ্ববর্তী চট্টগ্রাম, মিরসরাই, চৌদ্দগ্রাম ও সেনবাগের বাসিন্দা।
রাশেদুল হাসান/এমএএস/এমকেএইচ