করোনায় আবারও অনিশ্চিত আখাউড়া বন্দরের রফতানি বাণিজ্য
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রভাবে দ্বিতীয়বারের মতো বন্ধ হয়ে যাওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরের পণ্য রফতানি কার্যক্রম আবারও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
আগামীকাল শনিবার (১৩ জুন) থেকে পণ্য রফতানি কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সেটি হচ্ছে না। আগরতলা ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট ও আগরতলা স্থলবন্দরে কর্মরত ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যসহ প্রায় ৩০০ জনের করোনাভাইরাস পরীক্ষার রিপোর্ট আসার পর রফতানি চালুর বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবেন সেখানকার ব্যবসায়ীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, করোনাভাইরাসের কারণে ২৪ মার্চ হঠাৎ করে পণ্য আমদানি বন্ধ করে দেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ভারতজুড়ে চলা লকডাউনের কারণে দেশটির অন্য রাজ্য থেকে পণ্য সরবরাহ না বন্ধ থাকায় পুনরায় আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মাছ ও ফলমূল আমদানিতে আগ্রহ দেখান সেখানকার ব্যবসায়ীরা। পরবর্তীতে ৪ এপ্রিল আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য রফতানি শুরু হয়। প্রথমে শুধু মাছ রফতানি হয়। এর কিছুদিন পর অন্যান্য পণ্যও রফতানি স্বাভাবিক হয়।
পরবর্তীতে আগরতলা ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্টে কর্মরত ছয় বিএসএফ সদস্য, দুইজন কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় আবারও অনিশ্চিত হয়ে পড়ে রফতানি বাণিজ্য। এবারও আগে থেকে কিছু না জানিয়ে ৭ জুন থেকে পণ্য নিচ্ছেন না ভারতীয় ব্যবসায়ীরা।
আগামীকাল শনিবার রফতানি চালুর কথা থাকলেও সেটি আর হচ্ছে না। আগরতলা ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট ও আগরতলা স্থলবন্দরে কর্মরত বিএসএফ সদস্যসহ প্রায় ৩০০ জনের করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হচ্ছে। পরীক্ষার রিপোর্ট আসার পর ভারতীয় ব্যবসায়ীরা পণ্য আমদানির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাবেন। রফতানি কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে প্রতিদিন অন্তত এক কোটি টাকার পণ্য রফতানি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের বরাত দিয়ে আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বলেন, শনিবার (১৩ জুন) থেকে পণ্য রফতানির কথা ছিল। কিন্তু নতুন করে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করতে দেয়া ৩০০ জনের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত পণ্য রফতানি শুরু হবে না। এ বিষয়ে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা দুই-একদিনের মধ্যে বৈঠক করে তাদের সিদ্ধান্ত জানাবেন।
আজিজুল সঞ্চয়/এএম/পিআর