কুমিল্লায় করোনায় ৭২ দিনে ৭১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত আড়াই হাজার
হটস্পট কুমিল্লায় অপ্রতিরোধ্য গতিতে বাড়ছে করোনা শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। নমুনা পরীক্ষার সাথে সাথে এখন গাণিতিক হারে বাড়ছে শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। গত ৯ এপ্রিল জেলায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। পরে গত ৭২ দিনে (শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টা পর্যন্ত) করোনার পরীক্ষায় প্রাপ্ত শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৭১ জনে।
মৃত্যুও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। আজ নতুন করে মৃত্যুর পরিসংখ্যানে ৫ জনের যুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭১ জনে। বিকেলে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা সিভিল সার্জন ডা. নিয়াতুজ্জামান।
সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলায় প্রথম গত ৯ এপ্রিল করোনা রোগী শনাক্ত হয়। গত ১ মে পর্যন্ত করোনা পরীক্ষার প্রাপ্ত ১ হাজার ৬৮৩টি রিপোর্টের ফলাফলে মৃত্যু না থাকলেও শনাক্তের পজিটিভ সংখ্যা ছিল মাত্র ৮০টি।
৩১ মে এসে মোট পজিটিভ সংখ্যা দাঁড়ায় ৯৭১ জন এবং মৃত্যুর সংখ্যা ২৮ জনে। কিন্তু নমুনা পরীক্ষা বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যাও। জুনে এসে শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পায় গাণিতিক হারে।
গত ১৯ দিনে শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়াল কয়েকগুন। শুক্রবার (১৯ জুন) সন্ধ্যা পর্যন্ত শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৭১ জনে এবং নতুন করে আরও ৫ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ায় ৭১ জনে।
করোনার জন্য রেড জোন হিসেবে চিহিৃত জেলায় শুধুমাত্র শুক্রবারই নতুন করে আরও ৯৩ জনের করোনা শনাক্ত হওয়ার খবর দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. নিয়াতুজ্জামান জানান, নতুন করে করোনা শনাক্ত হওয়াদের মধ্যে নগরীতে ৪১ জন, আদর্শ সদরে ৮ জন, দেবিদ্বারে ১৩, সদর দক্ষিণে ৩, লালমাই ৬, মুরাদনগরে ২ জন, নাঙ্গলকোটে ১৭ (একজন মৃত), চৌদ্দগ্রাম, দাউদকান্দি ও লাকসামে ১ জন করে করোনায় পজিটিভ ব্যক্তি রয়েছেন।
এছাড়াও দেবিদ্বার, নাঙ্গলকোট, মুরাদনগর, চৌদ্দগ্রাম ও দাউদকান্দিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৫ জন মারা গেছেন।
এদিকে পৌনে ৭টার দিকে সিভিল সার্জন অফিসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে জেলার করোনার সর্বশেষ আপডেট তথ্য থেকে জানা যায়, এ পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে ১৫ হাজার ৪৩৭ জনের করোনার নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানোর পর রিপোর্ট এসেছে ১৪ হাজার ১৯৪ জনের। এর মধ্যে জেলায় করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে মোট ২ হাজার ৪৭১ জনের এবং মারা গেছেন মোট ৭১ জন। এ যাবৎ মোট সুস্থ হয়েছেন ৬৯৭ জন।
কামাল উদ্দিন/এমএএস/জেআইএম