ভৈরবে ১০ দিনেও মিলছে না করোনার রিপোর্ট

কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় নমুনা দেয়ার ১০ দিনেও মিলছে না করোনাভাইরাস পরীক্ষার রিপোর্ট। এতে করে রিপোর্টের জন্য অপেক্ষমান রোগীরা হতাশায় ভুগছেন। এছাড়া নমুনা দিয়ে অবাধে ঘোরাফেরার কারণে বাড়ছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি। রিপোর্ট প্রাপ্তিতে এই দীর্ঘসূত্রিতার কারণে স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সোমবার পর্যন্ত ভৈরবে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫০২ জন। এছাড়া করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১০ জন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভৈরব উপজেলায় এখন পর্যন্ত দুই হাজার ৫১৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এরমধ্যে দুই হাজার ৩০৯টির রিপোর্ট পাওয়া গেছে। তবে ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও ২০ জুনের রিপোর্টই আসেনি উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে। ২৯ জুনের রিপোর্ট এলেও ২৫, ২৭ ও ২৮ জুনের রিপোর্ট এখনও মেলেনি।
নমুনার ফলাফলে দেখা গেছে, ভৈরবে শতকরা প্রায় ২৫ শতাংশ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এরপরও মানুষজন সামাজিক দূরত্ব মানছেন না। অনেকে মাস্ক না পরেই বাইরে অবাধে ঘোরাফেরা করছেন। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী ঢাকার বাইরে প্রতি লাখে ১০ জন করোনায় আক্রান্ত হলে ‘রেড জোন’ হিসেবে ঘোষণা করা হবে। সে হিসেবে ভৈরবের জনসংখ্যা অনুযায়ী প্রতি লাখে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১০০ জন হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও ‘রেড জোন’ ঘোষণার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। যদিও উপজেলা প্রশাসন একের পর এক ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে আর্থিক জরিমানা আদায় করছে।
ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বুলবুল আহমেদ জানান, এখন পর্যন্ত দুই হাজার ৫১৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এরমধ্যে দুই হাজার ৩০৯টি নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট এসেছে। বাকি রিপোর্টগুলো দ্রুত দেয়ার জন্য আমরা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি।
এ ব্যাপারে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুবনা ফারজানা বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ উপজেলা হিসেবে আমরা চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠোকাতে উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এফএ/জেআইএম