করোনা ভুলে আনন্দ লেগেছে তিস্তা ব্যারেজ এলাকায়

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নীলফামারী
প্রকাশিত: ১২:৪৫ পিএম, ০৩ আগস্ট ২০২০

তিস্তা ব্যারেজে গেলে বোঝার উপায় নেই দেশে মহামারি পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ঈদের দিন মানুষের উপস্থিতি কিছুটা কম থাকলেও ঈদের পরের দিন থেকে সেখানে পা রাখা ভার। করোনা ভাইরাসের এই মহামারির মধ্যেও পরিবার পরিজন নিয়ে বেরিয়ে পড়েছে সকলেই। ওই এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট।

তিস্তার বুকে দ্রুত বেগে এক পাশ থেকে আরেক পাশে ছুটে চলছে স্পিডবোট বা শ্যালো ইঞ্জিনচালিত নৌকা। হৈ-হুল্লোড়ে মেতে উঠছেন সবাই। ছোট বড়, শিশু কিশোর, তরুণ-তরুণী এমনকি বৃদ্ধদেরও মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে তিস্তা পাড়। বিভিন্ন এলাকা থেকে তিস্তা ব্যারেজে পরিবার পরিজন নিয়ে বেড়াতে এসেছেন সবাই। কেউ মোটরসাইকেল কেউ মাইক্রোবাস আবার কেউ ইজিবাইকে করে ঘুরতে এসেছেন।

ঘুরতে আসা এসব মানুষদের জন্য তিস্তা ব্যারেজজুড়ে বসেছে অস্থায়ী বাজার। নানা রকম পণ্য দিয়ে সাজানো হয়েছে দোকানগুলো। বিভিন্ন খেলনা, বাঁশি, বেলুন, মাটির গাড়ি, খাবারের দোকান রয়েছে এখানে। এছাড়া নদীর বুকে ভাসমান বেশ কিছু পালতোলা নৌকা নজর কাড়ছে দর্শনার্থীদের।

নীলফামারী, ডোমার, জলঢাকা, সৈয়দপুর, পঞ্চগড়, দেবীগঞ্জ, লালমনিরহাট, পাটগ্রাম, রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষে ভরে গেছে তিস্তাপাড়। করোনা ভাইরাসের কারণে ঘরবন্দি থেকে হাফিয়ে গেছেন তাই ঘুরতে এসেছেন বলে জানান ঘুরতে আসা এসব মানুষ।

তিস্তা নদীতে এখন ভরপুর পানি। উজানের ঢল আসছে। তিস্তার পাড়ে দাঁড়ালে বাতাসে শোনা যায় পানির শব্দ ও ঢেউ। হিমালয় থেকে নেমে আসা এ নদীকে ঘিরে দু’পাড়ের মানুষ গড়ে তুলেছে বসতি ও জীবিকা, নীল জল আর সবুজের রঙে প্রকৃতি একেছে শ্যামল ছবি। ফিরে এসেছে জীববৈচিত্র্য।

তিস্তা ব্যারেজের আনছার ক্যাম্পের ইনচার্জ মোখলেছুর রহমান জানান, রোববার দুপুরের পর ডালিয়া নতুন বাজার থেকে তিস্তা ব্যারেজের উত্তর সাধুর বাজার পর্যন্ত দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পুলিশ আনসারসহ পাউবো কর্মকর্তারা রাত ১২টা পর্যন্ত কাজ করে যানজট দূর করেন। কিন্তু সোমবার সকাল থেকে আবারও দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বেলা যতই বাড়ছে যানজট ততই প্রকট হচ্ছে।

জাহেদুল ইসলাম/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।