প্রাণ ফিরেছে খাগড়াছড়ির পর্যটন কেন্দ্রে

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি খাগড়াছড়ি
প্রকাশিত: ১০:৫৪ এএম, ২৯ আগস্ট ২০২০

কক্সবাজার-রাঙ্গামাটি-বান্দরবানের পর এবার প্রাণ ফিরে পেয়েছে সবুজ অরণ্যে ঘেরা খাগড়াছড়ির পর্যটন কেন্দ্রগুলো। বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার পর শুক্রবার (২৮ আগস্ট) পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে খাগড়াছড়ির অন্যতম প্রধান চারটি পর্যটন কেন্দ্র।

খাগড়াছড়ির পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেয়ার খবরে স্থানীয়দের পাশাপাশি খাগড়াছড়িতে আসতে শুরু করেছেন ভ্রমণপিপাসু পর্যটকরা। দীর্ঘ পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেয়ায় পর্যটকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা গেছে। পর্যটকদের আগমনে বুকিং বেড়েছে হোটেল-মোটেলগুলোতে। অর্থনীতির চাকা ঘুরতে শুরু করেছে স্থানীয় চাঁদের গাড়ির চালকদেরও।

khagrachory

দর্শনার্থীদের প্রবেশের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধানসহ খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছয়টি শর্ত বেঁধে দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে স্যানিটাইজার অথবা সাবান দিয়ে হাত জীবাণুমুক্ত করা, অসুস্থ অবস্থায় পর্যটন কেন্দ্রে প্রবেশ না করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও পর্যটন কর্পোরেশনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা অন্যতম।

khagrachory

দীর্ঘদিন পর পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেয়ায় পর্যটকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা গেলেও করোনা সংক্রমণ এড়াতে মাস্ক পরা, হাত জীবাণুমুক্ত করাসহ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে ছয়টি শর্ত দেয়া হয়েছে তা মানছেন না অনেকেই। স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে প্রচারণা না থাকায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।

khagrachory

এর আগে ২৩ আগস্ট খাগড়াছড়ি জেলা করোনাভাইরাস বিষয়ক কমিটির সভা শেষে খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে ছয় শর্তে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ পার্ক, রিসাং ঝর্ণা, আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র ও মায়াবিনী লেক সীমিত পরিসরে খুলে দেয়ার ঘোষণা দেন।

প্রসঙ্গত, গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হওয়ার পর ১৮ মার্চ থেকে সারাদেশের ন্যায় খাগড়াছড়ির সব পর্যটন কেন্দ্র অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন। একই সময় থেকে রাঙ্গামাটির সাজেক পর্যটন কেন্দ্রও বন্ধ রয়েছে।

মুজিবুর রহমান ভুইয়া/আরএআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।