সিসিক মেয়র আরিফ ও প্রধান প্রকৌশলী করোনায় আক্রান্ত
অডিও শুনুন
সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র ও বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন সিসিকের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে তাদের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। একইদিন সিলেট বিভাগে নতুন করে আরও ৮৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায়ও তাদের আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের শুরুর দিক থেকেই সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নিরলসভাবে কাজ করেছেন। লকডাউনের সময় বাসাবাড়িতে আটকেপড়া অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করে তিনি ব্যাপক সুনাম কুড়িয়েছেন। সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমানসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়েই তিনি এসব কাজ চলমান রেখেছেন।
এর আগে মেয়র আরিফের স্ত্রী সামা হক চৌধুরীও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। পরে তিনি বাসায় থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এছাড়া সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলামের পুরো পরিবার ও নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আকবরও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। পরে অবশ্য তারা চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠেন।
এদিকে, সিলেট বিভাগে বৃহস্পতিবার নতুন করে আরও ৮৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ২৯ জন ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিসিআর ল্যাবে ৫৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, বৃহস্পতিবার ওসমানীর ল্যাবে ২৮২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তদের মধ্যে সিলেটের ২৫ জন, সুনামগঞ্জের দুজন, হবিগঞ্জের একজন এবং মৌলভীবাজারের একজন রয়েছেন।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের প্রভাষক জি এম নুরুন্নবি আজাদ জুয়েল জানান, বৃহস্পতিবার শাবিপ্রবির ল্যাবে ৩৭৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তদের মধ্যে সুনামগঞ্জের ৩ জন, হবিগঞ্জের ১১ জন, মৌলভীবাজারের ১৫ জন ও সিলেট জেলার ২৬ জন রয়েছেন।
এ নিয়ে সিলেট বিভাগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৭৫৩ জনে। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ৬ হাজার ৩০৩ জন, সুনামগঞ্জে ২ হাজার ১৬০, হবিগঞ্জে এক হাজার ৩১ এবং মৌলভীবাজারে এক হাজার ৬০০ জন রয়েছেন।
ছামির মাহমুদ/এফআর