ফেনীতে ১৩৭ মন্ডপে চলছে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ফেনী
প্রকাশিত: ১২:২৯ এএম, ০৭ অক্টোবর ২০২০

আর মাত্র কয়েকদিন পরই শুরু হচ্ছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। মন্ডপগুলোকে নতুনত্ব সংযোজন করে ভক্তদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে ব্যস্ততার সীমা থাকতো না কারোই।

কিন্তু এবার চলমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতি সবকিছুই মলিন করে দিয়েছে। ধর্মীয় এ উৎসবটির সব কিছুতেই কাঁটছাট করা হয়েছে। নেই তেমন কোনো ব্যস্ততা। নেই সাজ সজ্জার-ধামাকাযজ্ঞ। প্রতিবারের মতো মন্ডপ সম্মুখে দৃষ্টি নন্দন গেইট নির্মাণের দৃশ্যও চোখে পড়ছে না এবার।

ফেনী জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক শুকদেব নাথ তপন জানান, ২১ অক্টোবর দেবী দূর্গার বোধনের মাধ্যমে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। ২২ অক্টোবর ষষ্ঠীর আনুষ্ঠানিকতা শেষে শুরু হবে মহাসপ্তমী পূজা। এরপর মহাঅস্টমী, কুমারী পূজা, মহানবমী ও দশমী পূজা শেষে ২৭ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।

তিনি জানান, গত বছর এমন দিনে মন্ডপে সাজ-সজ্জার কাজে সবাই ব্যস্ত সময় পার করত। চোখ ধাঁধানো লাইটিং আর বিলাসবহুল ফটক মন্ডপে আগ্রহী করে তুলত ভক্তকুলকে। কিন্তু এবার তেমন কিছুই করা হচ্ছে না। মহামারিকালে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করতেই সবকিছুকে একেবারেই সীমিত করা হচ্ছে।

ফেনী জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্রশীল জানান, চলমান করোনা পরিস্থিতিতে পূজায় করণীয় সম্পর্কে সম্প্রতি আমরা সভায় কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। এবার শুধুমাত্র আমাদের পূজার পর্বটাই হবে। বাহ্যিক আনন্দ, সাজ-সজ্জা, আলোক-সজ্জার পরিধি সীমিত করা হয়েছে।

মন্ডপগুলোতে বাজেট গতবারের তুলনায় অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়েছে। করোনার কারণে সকলকে নিরুৎসাহিত করতেই কেন্দ্রীয় নির্দেশনার আলোকে জেলা কমিটি থেকে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রাজিব খগেশ দত্ত জানান, এবার ফেনীতে মন্ডপের সংখ্যাও কমে গেছে। গত বছর জেলায় ১৪০টি মন্ডপে পূজা উদযাপন করা হয়েছে। কিন্তু এবার ৩টি কমিয়ে ১৩৭টি মন্ডপে সীমিত পরিসরে পূজার আয়োজন করা হচ্ছে।

তিনি জানান, ফেনী সদর উপজেলায় একটি মন্ডপ বাড়িয়ে ৪৬টি মন্ডপে পূজার প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া পূর্বের ন্যায় ফেনী পৌরসভায় ১১টি, দাগনভূঞায় ১৮টি, সোনাগাজীতে ২২টি, ছাগলনাইয়ায় ৫টি, পরশুরামে ৬টি পূজার জন্য মন্ডপ তৈরি হচ্ছে।

এছাড়াও ফুলগাজী উপজেলায় মন্ডপের সংখ্যা ৩৩ থেকে কমিয়ে ২৯টিতে নিয়ে আসা হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলার ১৩৭টি মন্ডপের জন্য ৫০০ কেজি হারে চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে।

এছাড়াও জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগ থেকেও পূজার ধরণ ও সার্বিক বিষয় নিয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা পাবেন বলে জানিয়েছেন হিন্দু কমিউনিটির এ নেতা।

রাশেদুল হাসান/এমআরএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।