হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার হলো কলেজ ছাত্রী

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নড়াইল
প্রকাশিত: ০২:১১ পিএম, ১৮ অক্টোবর ২০২০

নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের এক ছাত্রীকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। মেয়েটিকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার রাতে চিত্রশিল্পী এসএম সুলতান কমপ্লেক্সের পাশ থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।

ভুক্তভোগী কনা বিশ্বাস সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের অনার্স হিসাব বিজ্ঞানের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। তিনি কালিয়া উপজেলার আরাজি বাঁশগ্রামের পুস্পেন বিশ্বাসের মেয়ে। মাঝে মাঝে জ্ঞান ফিরলেও আতঙ্কিত হয়ে আবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন তিনি।

সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. জিদার চৌধুরী বলেন, মেয়েটির পুরোপুরি জ্ঞান ফিরলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। তাকে শারীরিকভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে কিনা তা এই মুহূর্তে বলা সম্ভব হচ্ছে না।

ওই শিক্ষার্থীর বাবা পুস্পেন বিশ্বাস জানান, কনা প্রতিদিনের মতো সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ি থেকে নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজের হোস্টেলের পাশে কোচিং করতে যায়। সকাল ৯টা ২০ মিনিটের দিকে তার সঙ্গে কথা হলে তাকে একটি নতুন মোবাইল সিম কিনতে বলি। এরপর তার সঙ্গে আর কথা হয়নি।

দুপুরে বাড়িতে না ফেরায় তাকে ফোন করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে একটা নম্বর থেকে আমার কাছে ফোন করে বলা হয় মেয়েকে পেতে হলে ৫ লাখ টাকা লাগবে। তখন আমি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করি।

পরে সন্ধ্যার পর এক নারী আমার মেয়ের পুরোনো ফোন নম্বর থেকে আমাকে ফোন করে বলে সুলতান কমপ্লেক্সের পাশ থেকে আপনার মেয়েকে নিয়ে যান। এ সময় সদর থানা পুলিশকে বিষয়টি জানালে পুলিশ মেয়েকে উদ্ধার করে।

এ ব্যাপারে নড়াইল সদর থানার ওসি (তদন্ত) সুকান্ত সাহা বলেন, এ বিষয়টি জানার পরপরই সদর থানা পুলিশ সুলতান কমপ্লেক্সের শিশু স্বর্গ ভবনের পূর্ব পাশে একটি কচুখেত থেকে মেয়েটিকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. মশিউর রহমান বাবু জানান, মেয়েটিকে হাসপাতালে আনার পর বার বার জ্ঞান হারাচ্ছিল। সকালে তার জ্ঞান এসেছে। হাসপাতালের মেডিকেল টিমের ডাক্তাররা তার শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা নিরীক্ষা করছেন।

হাফিজুল নিলু/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।