৬ গ্রামের মানুষের চলাচলের কালভার্টে বাঁশের ঠেক

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মেহেরপুর
প্রকাশিত: ১২:৫২ পিএম, ২৩ নভেম্বর ২০২০

একটি কালভার্ট। এই কালভার্ট দিয়ে চলাচল করে ছয় গ্রামের মানুষ। ৪০ বছর আগে কালভার্টটি নির্মাণ করা হলেও এখন আর চলাচলের উপযোগী নেই। এর কিছু অংশ ভেঙে গেছে। চলাচলের উপযোগী রাখতে সর্বশেষ বাঁশের খুঁটির ঠেকনা দেয়া হয়েছে।

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার তেরাইল গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলা সেউটিয়া খালের ওপর নির্মিত কালভার্টটি ব্যবহারের অনুপযোগী হলেও কয়েক গ্রামের মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই ওপর দিয়ে চলাচল করছেন।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় ৪০ বছর আগে কালভার্ট নির্মাণ করা হয়ে। বর্তমানে কালভার্টটি চলাচলের অনুপযোগী। তারপরও এর সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। যে কোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে। প্রয়োজনের তাগিদে স্থানীয়রা বাঁশের খুঁটি দিয়ে কালভার্টটি ভেঙে পড়া থেকে রক্ষ করেছেন।

তেরাইল গ্রামের বাসিন্দা জাহিদ হোসেন, জাহাঙ্গীর বিশ্বাস ও মান্নান জানান, নির্মাণের পর সাধারণ মানুষ শুধু খাল পাড়ি দিতেই কালভার্টটি ব্যবহার করতেন। তবে গত কয়েক বছর ধরে গাংনী উপজেলা শহর ও ছয়টি গ্রামের মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এই কালভার্ট। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে কালভার্টটির ওপর যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। তিন বছর আগে এটি ভেঙে গেছে। এরপরও সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এখন সাধারণ মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে। পাঁচ মিটার দীর্ঘ এ কালভার্ট বর্তমান সড়কের সঙ্গেও বেমানান।
দেবীপুর গ্রামের বৃদ্ধ রাশিদুল জানান, প্রায় ৪০ বছর আগে কালভার্টটি নির্মিত হয়। নির্মাণকালে মাটি ধসে দুই নির্মাণশ্রমিক মারা যায়। বর্তমানে এর ব্যবহার খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।

jagonews24

বামন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বিশ্বাস জানান, কালভার্টটি নির্মাণের পর কখনো সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন সময় উপজেলা প্রকৌশল অফিসে যোগাযোগ করা হয়েছে। কোনো কাজ হয়নি।

তিনি বলেন, ‘স্থানীয়দের সহযোগিতায় আপাতত বাঁশের খুঁটি দিয়ে কালভার্টটি রক্ষা করার চেষ্টা করা হয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোনো রকমে মাঠ থেকে কৃষকরা তাদের ফসল ঘরে তুলছেন। এলাকার লোকজনও ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন।’

চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘কালভার্টটি প্রায় ভেঙে পড়ার উপক্রম। দেবে গেছে একটি অংশ। ছয় থেকে সাত মাস আগে এর ছাদের এক কোনা ভেঙে পড়ে। যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।’

মেহেরপুর-২ গাংনী আসনের সংসদ সদস্য সাহিদুজ্জামান খোকন জানান, সরেজমিন গিয়ে কালভার্টটি পরিদর্শন করা হয়েছে। দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ে রিপোর্ট করা হয়েছে। আশা করি খুব শিগগিরই টেন্ডার হবে।

গাংনী উপজেলার প্রকৌশলী গোলাপ আলী শেখ জানান, কালভার্টটি রিপ্লেসমেন্ট করার জন্য আমরা অনেক দিন ধরেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।

আসিফ ইকবাল/এসআর/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।