শুধু ভাষা দিবসেই খোলা হয় মাগুরার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার
ফেব্রুয়ারি মাস ভাষার মাস। ১৯৫২ সালের এ মাসেই রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ঐক্যবদ্ধ ছিল ছাত্র ও জনতা। দাবির আন্দোলন বেগবান হলে জিন্নাহ সরকার বাধ্য হয় পূর্ব পাকিস্তানিদের মাতৃভাষা হিসেবে বাংলাকে মেনে নিতে। সেই থেকে ফেব্রুয়ারি আমাদের ভাষার মাস।
একুশ আমাদের অহংকার আর ভাষা শহীদদের স্মরণে প্রতিষ্ঠিত শহীদ মিনার আমাদের গর্বের প্রতীক। পরবর্তীতে তা ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়ে এখন ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা’ হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি লাভ করেছে। অথচ মাগুরা সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শহীদ মিনারটি সারাবছরই সীমানা প্রাচীর দিয়ে ঘেরা থাকে। ফটকে ঝোলানো থাকে লোহার তালা। বছরে একদিন একুশে ফেব্রুয়ারিতে খোলা হয় তালা।
শিক্ষার্থীরা জাগো নিউজকে জানান, একুশে ফেব্রুয়ারি ছাড়া শহীদ মিনারে গিয়ে ভাষা শহীদদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করার সুযোগ অন্যসময় থাকে না। প্রায় পাঁচ বছর ধরে এমনি বন্দিদশায় রাখা হয়েছে মাগুরার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি। শুধু একুশে ফেব্রুয়ারি এলেই শহীদ মিনারটিতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করা হয়। বাকি সময় অযত্নে-অবহেলায় পড়ে থাকে।
মাগুরা সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. দেলোয়ার হোসেন খান বলেন, ‘খোলা থাকলে ছেলেপেলে শহীদ মিনারে আড্ডা মারে। শহীদ মিনারের পবিত্রতা নষ্ট করে। তাই কেউ যেন শহীদ মিনারে ঢুকতে না পারে, সেজন্য আমরা তালাবদ্ধ করে রাখি।’
ভাষাসৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সি রেজাউল হক জাগো নিউজকে বলেন, শহীদ মিনারকে তালাবন্দি করে রাখা ঠিক নয়। শহীদ মিনার ভাষা আন্দোলনের ধারক ও বাহক। তবে শহীদ মিনারের ভাবমূর্তি রক্ষায় নতুন প্রজন্মের আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
আরাফাত হোসেন/এসআর/এএসএম