সিসি টিভি ফুটেজে দেখা গেল ছাত্রলীগ নেতা মিরু হত্যার দৃশ্য

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মানিকগঞ্জ
প্রকাশিত: ০২:৪৮ পিএম, ০৩ মার্চ ২০২১
ফাইল ছবি

মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিংগাইর সরকারি ডিগ্রী কলেজের ভিপি ফারুক হাসান মিরুকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় বুধবার (৩ মার্চ) সকাল পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।

এদিকে ঘটনাস্থলের পাশে থাকা একটি সিসি টিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। সেই ফুটেজ পর্যালোচনা করে খুনিদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

সিসি টিভির সেই ফুটেজ জাগো নিউজের হাতেও এসেছে। সেখানে দেখা যায়, ফারুক হোসেন মিরু এবং তার সহযোগী আলমাস খান উপজেলা পরিষদের সামনের রাস্তায় দুটি মোটরসাইকেল পাশাপাশি চালিয়ে যাচ্ছেন। কিছুক্ষণ পর মিরুর সেই সহযোগী দৌড়ে যাচ্ছেন। পেছনে দুই ব্যক্তি ধারালো অস্ত্র হাতে ধাওয়া করছে তাকে। এর কিছুক্ষণ পর যে সিএনজি অটোরিকশা দিয়ে তাদের মোটরসাইকেল গতিরোধ করা হয় সেই সিএনজি দুটিও তাদের পেছনে যায়।

মিরুর সঙ্গে মোটরসাইকেল চালিয়ে আসা আলমাস খান সাংবাদিকদের জানান, দুটি সিএনজি অটোরিকশা দিয়ে প্রথমে তাদের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করা হয়। এরপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের ধাওয়া করে সন্ত্রাসীরা। দুজন দুদিকে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন তারা। মিরুর পেছনে ধাওয়া করে ৭/৮ জন। হামলাকারী সবাই মুখোশধারী ছিলো বলে জানান তিনি। দৌড়ে একটি ভুট্টাখেতে আশ্রয় নিয়ে প্রাণে বাঁচেন তিনি।

সিংগাইর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল ইসলাম জানান, ছাত্রলীগ নেতা মিরু হত্যার ঘটনায় থানায় এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

এদিকে মঙ্গলবার রাতে জানাজা শেষে ছাত্রলীগ নেতা মিরুকে সিংগাইরের আজিমনগর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

সোমবার মধ্যরাতে একটি অনুষ্ঠান থেকে ফারুক হাসান মিরু ও তার সহযোগী আলমাস খান দুটি মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। সিংগাইর উপজেলা পরিষদের সামনের রাস্তায় দুটি সিএনজি দিয়ে তাদের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করা হয়। মুখোশধারী সন্ত্রাসীদের এলোপাতারি কোপে মিরু মারাত্বক আহত হন। দৌড়ে প্রাণে বাঁচেন মিরুর সহযোগী আলমাস খান।

মিরুকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে পঙ্গু হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দুপুরে মারা যান তিনি।

সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলেই মিরুকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।

বি.এম খোরশেদ/এফএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।