স্ত্রীকে ৭ টুকরো করে হত্যা : আদালতে স্বামীর স্বীকারোক্তি

গাজীপুরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ সাত টুকরো করার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত স্বামী জুয়েল আহমেদকে সোমবার (৮ মার্চ) গাজীপুর আদালতে পাঠানো হলে তিনি সেখানে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এর আগে নিহত স্ত্রী রেহানা আক্তারের ভাই মো. হোসাইন শহিদ বাদী হয়ে সোমবার জয়দেবপুর থানায় মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জয়দেবপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাকিবুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃত জুয়েল আহমেদকে সোমবার গাজীপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে তিনি তার স্ত্রীকে হত্যার পর সাত টুকরো করার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
তিনি আরো জানান, জুয়েল আগে একটি বিয়ে করে। সেখানে তার একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। গত ছয় মাস আগে জুয়েল-রেহানা পালিয়ে বিয়ে করে।
জুয়েলের আগের বিয়ের কথা জানতো না রেহানা আক্তার। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ দেখা দেয়।
গত বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) পারিবারিক কলহের জেরে গৃহবধু রেহেনা আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যার পর তার মরদেহ সাত টুকরো করে স্বামী জুয়েল।
পরে রোববার (৭ মার্চ) সদর উপজেলার মনিপুর এলাকা থেকে লাশের টুকরোগুলো উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর স্বামী জুয়েলকে আটক ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি জব্দ করা হয়।
আটক জুয়েল ও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা আরো জানান, গ্রেফতারকৃত জুয়েলের বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বাম্ভরপুর থানার পলাশ ইউনিয়নের কাচিরগাতি গ্রামে। তার পিতার নাম আ. বাতেন।
আমিনুল ইসলাম/এসএমএম/এমকেএইচ