বছরে ১৮০ মিলিয়ন ডোজ টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে ইনসেপ্টার
ইনসেপ্টার বছরে ১৮০ মিলিয়ন ডোজ টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেছেন, এটি আমাদের সবার জন্য বড় সুখবর। এ ক্ষেত্রে বিশ্বে যখন করোনা ভ্যাকসিনের বিপুল চাহিদা তৈরি হবে তখন ওয়ার্ল্ড কমিউনিটি এর সুবিধা নিতে পারবে বলে আমরা আশাবাদী।
বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) বিকেলে দেশের প্রথম জীবন রক্ষাকারী আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ইনসেপ্টা ভ্যাকসিন লিমিটেডের উৎপাদন প্ল্যান্ট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, অবকাঠামো এবং জিএমপি (গুড ম্যানুফ্যাকচারিং প্রাকটিস) মান অনুযায়ী টিকা উৎপাদনের মাধ্যমে ইনসেপ্টা ভ্যাকসিন লিমিটেড বিশ্বমানের প্ল্যান্ট হিসেবে সক্ষমতা অর্জন করেছে। করোনা পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিন উৎপাদনের জন্য অন্য দেশও এই প্ল্যান্ট ব্যবহার করতে পারবে। এতে বিশ্বের জনস্বাস্থ্য সুরক্ষিত হওয়ার ক্ষেত্রে ইনসেপ্টার ভ্যাকসিন উৎপাদনের সক্ষমতা বড় ধরনের ভূমিকা পালন করবে।
এর আগে তিনি সাভারের জিরাবোতে অবস্থিত ইনসেপ্টা ভ্যাকসিনের বাল্ক ফ্যাসিলিটি, আরঅ্যান্ডডি ফ্যাসিলিটি, প্রোডাকশন ফ্যাসিলিটি এবং অ্যানিম্যাল হাউস পরিদর্শন করেন। তার সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা-২০ আসনের সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ-এর সচিব, মো. আব্দুল মান্নান, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল বাশার মো. খুরশীদ আলম, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মুক্তাদির।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের জুন মাসে ঢাকার সাভারে ইনসেপ্টা ভ্যাকসিন লিমিটেড আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। যেখানে ভ্যাকসিন উৎপাদনের জন্য সম্পূর্ণ আলাদা পরিসরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জিএমপি নীতিমালা অনুযায়ী স্থাপিত প্ল্যান্ট ও ভ্যাকসিন উৎপাদনের জন্য উন্নত মানসম্পন্ন সকল যন্ত্রপাতি রয়েছে।
এছাড়া অ্যানিম্যালের ওপর বিভিন্ন ধরনের টেস্ট করার জন্য বৃহৎ অ্যানিম্যাল হাউস এবং ভ্যাকসিন উৎপাদনের সব কাজ পরিচালনার জন্য বিদেশি বিশেষজ্ঞ ও দক্ষ ফার্মাসিস্ট রয়েছেন।
ইনসেপ্টা ভ্যাকসিন লিমিটেড এখন পর্যন্ত ১৩টি ভ্যাকসিন (ইমিউনোগ্লোবিউলিনসহ) যেমন- র্যাবিস, র্যাবিস-আইজি, হেপাটাইটিস- বি, হেপাটাইটিস-এ, টাইফয়েড, টিটেনাস, টিটেনাস-আইজি, মিজেলস-রুবেলা, এন্টিভেনাম, ফ্লু ও মেনিনজাইটিসসহ বেশ কয়েক ধরনের ভ্যাকসিন অত্যন্ত সফলভাবে উৎপাদন ও বাজারজাত করেছে।
আল-মামুন/এসজে/জেআইএম